হিন্দু ধর্মে তুলসী যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সকলেই জানি। এই পবিত্র উদ্ভিদটি বেশিরভাগ বাড়িতেই প্রতিষ্ঠা করে পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে এই গাছে দেবী লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেন। কথিত আছে যে ভগবান বিষ্ণু দেবী তুলসীকে বর দিয়েছিলেন যে তিনি সুখ ও সমৃদ্ধির দেবী হিসাবে পরিচিত হবেন। শালিগ্রাম ও তুলসী বছরে একবার বিয়ে করবেন। সেই অনুসারে তুলসীর গুরুত্ব কতটা তা অনুমান করা যায়। হিন্দুধর্মে তুলসী গাছের সব অংশই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তুলসী ডালেরও স্বতন্ত্র গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণত বৈষ্ণবরা তুলসীর মালা গলায় ধারণ করেন। অনেকেই জানেন না যে জীবনে সব সমস্যার সমাধান করতে তুলসীর মালা যে কেউই পরতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্রেও তুলসীর মালার উপকারিতা রয়েছে। তবে এই মালা পরতে হলে মেনে চলতে হয় কিছু নিয়ম। বিশ্বাস করা হয় যে তুলসীর মালা পরলে সমস্ত কষ্ট দূর হয়।
তুলসী মালা পরার উপকারিতা
হিন্দুদের বিশ্বাস যে তুলসী কাঠের মালা পরলে সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ধার্মিক হওয়ার পাশাপাশি তুলসীর মালা স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। কথিত আছে যে তুলসীর মালা পরলে বুধ ও শুক্র গ্রহ শক্তিশালী হয়, পাশাপাশি মনও শান্ত থাকে। বাস্তু অনুসারে তুলসীর মালা পরার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত, তা দেখে নিন…
তুলসী মালা পরার নিয়ম
১. তুলসীর মালা পরার আগে গঙ্গার জলে ধুয়ে নিতে হবে এবং শুকিয়ে গেলেই তা পরতে হবে।
২. যারা তুলসীর জপমালা পরেন, তাদের প্রতিদিন জপ করতে হবে। এর ফলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপা বজায় থাকে।
৪. যারা তুলসীর মালা পরেন তাদের সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া উচিত। সাত্ত্বিক খাবার মানে পেঁয়াজ, রসুন, মাংস, মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত নয়।
৫. পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তুলসীর মালা শরীর থেকে আলাদা করা উচিত নয়।
৬. তুলসীর মালা ধারণ করলে জীবনে কখনও মিথ্যে বলা উচিত নয়।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)