
ম্যাচটা শুরু হল একরকম, শেষটা পুরো উল্টো। মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক পাকিস্তানের। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। গত রবিবার কলম্বোয় পাকিস্তানকে ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় ভারত। এ বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। বিশ্বকাপে হারের হ্যাটট্রিক। সেমিফাইনালের রাস্তা ক্রমশ বন্ধ হচ্ছে ফাতিমা সানাদের। অথচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে একটা সময় চালকের আসনে ছিল পাকিস্তানই। কিন্তু বেথ মুনির মহাকাব্যিক ইনিংস সব ওলট-পালট করে দেয় পাকিস্তানের। ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হার।
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান পাকিস্তান ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা। শুরুটাও দুর্দান্ত। অস্ট্রেলিয়ার ৩০ স্কোরে কয়েক বলের ব্যবধানে দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও ফিবি লিচফিল্ডকে তুলে নেয় পাকিস্তান। স্কোরকার্ড হঠাৎই অবাক হয়ে দাঁড়ায়। মেয়েদের ক্রিকেটেও দাপট অস্ট্রেলিয়ার। তাদের এমন ব্যটিং বিপর্যয় কল্পনার বাইরে। মাত্র ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ তখন পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। অস্ট্রেলিয়াকে বাগে পেয়েও অল্প রানে বাঁধতে ব্যর্থ। চারে নামা বেথ মুনি এবং লেগস্পিনার অ্যালানা কিং ম্যাচের রং বদলে দেন।
নবম উইকেটে ১০৬ রান যোগ করে বেথ মুনি ও অ্যালানা কিং জুটি। মেয়েদের ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে রেকর্ড গড়েন বেথ মুনি ও অ্যালানা কিং। নবম উইকেটে ১০৬ রানের পার্টনারশিপ! এর আগে এই রেকর্ড ছিল কিম গার্থ ও অ্যাশলে গার্ডনারের। নবম উইকেটে ৭৭ রান যোগ করেছিলেন তাঁরা। ৭৬ রানে ৭ উইকেট থেকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের দুই স্পিনার নাসরা সান্ধু তিনটি এবং রামিন শামিম ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়াও ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা নেন ২টি উইকেট।
পাকিস্তানের ব্যাটিং আক্রমণ যে পুরোপুরি সিদরা আমিন নির্ভরশীল তা ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচেও দেখা গিয়েছে। ধারাবাহিক ভালো খেলছেন সিদরা। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে ভুগতে হচ্ছে। যেমনটা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হল। দুই ওপেনার ফেরেন সিঙ্গল ডিজিটে। এরপর আরও তিন ব্যাটার এক অঙ্কের রানে ফেরেন। মাত্র ৮৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চূড়ান্ত লজ্জার সামনে পাকিস্তান। সিদরা আমিন সর্বাধিক ৩৫ রান করেন। শেষ অবধি ১১৪ রানেই পাকিস্তানকে অলআউট করে অজিরা।
পাকিস্তানের স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা তারই জবাব দেন। কিম গার্থ ৩ উইকেট নেন। মেগান শুট, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের দখলে ২টি করে উইকেট। তিন স্পিনার সব মিলিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন।