কলকাতা: ‘ইট ক্রিকেট, ড্রিঙ্ক ক্রিকেট, স্লিপ ক্রিকেট।’ সেই নয়ের দশক থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে এই শব্দগুলো। ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে ভরপুর বিনোদন। আইপিএলের প্রথম দিন থেকেই জুড়েছে মশলা। আর সেই মশলাদার ক্রিকেটে বিতর্ক থাকবে না, তাই কখনও হয়? হরভজনের চড় কাণ্ড থেকে স্পট ফিক্সিং। প্রত্যেক আইপিএলই কোনও না কোনও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আবার কোনও কোনও আইপিএল হয়ে থেকেছে শুধুই বিতর্কিত। যা নিয়ে চর্চা চলেছে দিনের পর দিন। ২০২৩ আইপিএলেও বেশ কিছু ঘটনা বিতর্কিত হয়ে থেকেছে। তার মধ্যে কোন ঘটনাকে ভোলা কঠিন! সেই বিচার না হয় পাঠকই করবেন। TV9Bangla Sports-এ বারের আইপিএলের কিছু বিতর্কিত ঘটনা তুলে ধরল।
বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর- বহু চর্চিত সেই লড়াই ফিরে এল আবার। বিরাট কোহলি বনাম গৌতম গম্ভীর। আইপিএলের দুই হেভিওয়েটের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ছবি এর আগেও দেখেছে ক্রিকেটমহল। কেকেআরের খেলার সময় আরসিবির অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান গম্ভীর। এ বারের আইপিএলে আবার ফিরে এল সেই ছবি। লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। আরসিবি-লখনউ ম্যাচ শেষে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন কোহলি আর গম্ভীর। দু’জনকেই কড়া শাস্তি দেয় বোর্ড।
বিরাট কোহলি বনাম নবীন উল হক- লখনউ-আরসিবি ম্যাচে ঝামেলার সূত্রপাতে এই দুই চরিত্র। ম্যাচের শেষ লগ্নে আফগান ক্রিকেটার নবীন উল হকের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়ান কোহলি। পরিস্থিতি সামাল দেন ফিল্ড আম্পায়ার। ঝামেলার রেশ এতদূর গড়ায় যে, পরবর্তীতে টুইটে কোহলিকে বিদ্রুপ করেন নবীন। মাঠের পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও দুই ক্রিকেটারের পারস্পরিক শত্রুতা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এরপর লখনউয়ের আফগান পেসার নবীন যেখানেই খেলতে গিয়েছেন কোহলিভক্তরা তাঁকে কটাক্ষে ভরিয়েছেন।
বিরাট কোহলি বনাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়- দু’বছর আগের ঘটনা। তখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর বিরাট কোহলি জাতীয় দলের অধিনায়ক। দু’জনের সম্পর্কের অবনতি তখন থেকেই। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্রিকেট ডিরেক্টর হয়েছেন সৌরভ। বেঙ্গালুরুতে দিল্লি-আরসিবি ম্যাচে সামনা সামনি দেখা হলেও একে অপরকে সৌজন্য জানাননি। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যদিও আরসিবি-দিল্লি দ্বিতীয় সাক্ষাতে সেই বিতর্কের অবসান ঘটে। সৌরভের সঙ্গে কোহলিকে দেখা যায় একফ্রেমে। পুরনো ‘শত্রুতা’ ভুলে একে অপরকে কাছে টেনে নেন।
ধোনি বনাম আম্পায়ার- প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট বনাম চেন্নাই ম্যাচে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মহেন্দ্র সিং ধোনি। জুনিয়র মালিঙ্গা হিসেবে পরিচিত মাতিসা পাথিরানাকে স্লগ ওভারে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চার মিনিটের বেশি মাঠে না থাকায় তাঁকে সেই ওভারে বোলিং করানো যাচ্ছিল না। যা নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন ক্যাপ্টেন কুল। নির্ধারিত ৪ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে আসেন পাথিরানা। আসলে এই সময়টুকু কাটানোই লক্ষ্য ছিল। নির্ধারিত সময়ে ওভার শেষ করতে পারেনি সিএসকে। শাস্তি হিসেবে শেষ ওভারে এক জন কম ফিল্ডার দাঁড়ায় ৩০ গজ সার্কেলের বাইরে। তবে ধোনির বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্র্যাটেজি ক্লিক করে ম্যাচে। এ ঘটনা নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। ধোনির ‘ইচ্ছাকৃত’ অপরাধকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে- এমন মন্তব্যও করেন অনেকে।