DC vs SRH: দিল্লির ৩০০-র আতঙ্ক কাটালেন কুলদীপ, ঘরের মাঠে ঋষভদের টার্গেট ২৬৭
IPL 2024, Delhi Capitals-Sunrisers Hyderabad: পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে ১২৫ রান তোলে সানরাইজার্স। কুলদীপ যাদব আক্রমণে আসতেই ঝড় থামে। কুলদীপ যাদব একাই চার উইকেট নেন। হেড মাত্র ৩২ বলে ৮৯ রান করেন। ১১টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ছয় তাঁর ঝুলিতে। আর এক ওপেনার অভিষেক ১২ বলে ৪৬ রানে ফেরেন। শেষ দিকে শাহবাজ আহমেদের হাফসেঞ্চুরিতে ২৬৬ রানের বিশাল স্কোর সানরাইজার্সের।
ভাগ্যবানের কথা ভগবানও শোনেন। বলা উচিত, ভাগ্যবানের কথা ট্রাভিস হেড শুনলেন। এই তিনজন ভাগ্য়বান কে কে? খলিল আহমেদ, ললিত যাদব, কুলদীপ যাদব। আইপিএলের এই নির্মম দুনিয়ায় হঠাৎ এই তিন বোলার ভাগ্যবান হলেন কী ভাবে? বলা উচিত, ট্রাভিস হেডের খুনখারাপির সামনে ‘বেঁচেবর্তে’ থাকলেন এই তিন বোলার। কেন জানেন? ৬-৪ ছাড়া যিনি অন্য কিছু ভাবছেনই না, তিনি এই তিন বোলারের বিরুদ্ধে মাত্র চারটে সিঙ্গলস নিয়েছেন। বাকি, সব হাউই শট। যেন নতুন ফিরোজ শাহ কোটলা ট্রাভিস হেডের হাওয়ামহল। যে দিকে পারছেন, মুড়ি মুড়কির মতো ছয় মারছেন। শুরু করেছিলেন আরসিবির বিরুদ্ধে, দিল্লিকেও ক্ষমা করলেন না। যে আক্ষেপ আইপিএল দুনিয়ার ছিল তা একেবারে পুষিয়ে দিচ্ছেন যেন। ভারতের গ্রীষ্মকালীন উৎসব পেয়ে গেল নতুন ক্রিস গেইলকে।
কমেন্ট্রি বক্সে বসে ধারাভাষ্যকার বলছেন, স্কোরবোর্ড দেখে চমকে যাবেন না। ম্যাচ কিন্তু সময়ের আগে শুরু হয়নি। বরং ম্যাচকে সময়ের আগে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ট্রাভিস হেড। সকালে কী দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেন? দুপুরে কী থাকে তাঁর মেনুতে? ইদানীং কি লোহা-টোহা চিবোন নাকি? ট্রাভিস হেডকে আলোচনার অন্ত নেই। ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চের খবর জানা নেই, তবে চার-ছয় যে তাঁর প্রিয় খাবার, বোলারের মাথা চিবিয়ে খেতে যে ভালোবাসেন, বাইশগজে নামলেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। খলিল আহমেদের ভারতীয় টিমে প্রত্যাবর্তন হওয়া উচিত। শনি-সন্ধেয় তাঁর যাবতীয় ডেলিভারির ঠিকানা গ্যালারি। তিন ম্যাচ পর টিমে ফিরলেন আগ্রাসী প্রোটিয়া পেস বোলার অনরিখ নর্টজে। কোথায় রাখবেন বল, বুঝতেই পারলেন না। বোঝা আর না বোঝার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকলেন হেড। আপাতত যা দাঁড়াচ্ছে, এই হেডকে বুঝে ওঠা বড় দায়!
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভারের মধ্যেই ১০০! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একবারই ৩০০ পার হয়েছে। নেপাল পার করেছিল এই স্কোর। দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে সেই আতঙ্কই ছিল। ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে একটা সময় মনে হয়েছিল শুধু আইপিএলই নয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে যাবে। যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড, ক্রিস গেইলের ৩০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড, সবই সংশয়ে ছিল। তা অবশ্য অক্ষতই থাকল।
পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে ১২৫ রান তোলে সানরাইজার্স। কুলদীপ যাদব আক্রমণে আসতেই ঝড় থামে। কুলদীপ যাদব একাই চার উইকেট নেন। হেড মাত্র ৩২ বলে ৮৯ রান করেন। ১১টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ছয় তাঁর ঝুলিতে। আর এক ওপেনার অভিষেক ১২ বলে ৪৬ রানে ফেরেন। শেষ দিকে শাহবাজ আহমেদের হাফসেঞ্চুরিতে ২৬৬ রানের বিশাল স্কোর সানরাইজার্সের।