জীবন হোক এবং যে কোনও স্পোর্টস। শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। ঋষভ পন্থকেও দ্রুত মাঠে ফিরতে সাহায্য করেছে এই শৃঙ্খলাই। এমন তথ্য প্রকাশ্যে আনছেন চিকিৎসক, ফিজিওরা। ২০২২ সালের অভিশপ্ত ডিসেম্বর থেকে ২০২৪-এর মার্চ। হাসপাতালের শয্যা থেকে ময়দান। মাঝে উৎকণ্ঠার দীর্ঘ সময়। কঠোর পরিশ্রম। কী ভাবে প্রত্যাবর্তন ঋষভ পন্থের? সেই প্রসঙ্গে নানা তথ্য তুলে ধরছেন তাঁকে ফিট করে তোলা চিকিৎসক, ফিজিওরা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডিসেম্বরের সেই রাতটা কোনওদিন ভোলার নয় ঋষভ পন্থের কাছে। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছেও। মা-কে সারপ্রাইজ দিতে যাচ্ছিলেন পন্থ। অথচ তাঁর জন্যই এত ভয়ঙ্কর সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল যে…। তাঁর প্রাণ সংশয় ছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ভেবেছিলেন, হয়তো পা কেটে বাদ দিতে হবে। সেই উৎকন্ঠার সময় পেরিয়ে ক্রাচ নিয়ে হাঁটা। যেন প্রথম বার হাঁটা শিখছেন, এমন অনুভূতির কথাই জানিয়েছিলেন পন্থ। ক্রিকেটে আবার ফেরা হবে? এই সন্দেহটা খোদ ঋষভ পন্থেরও ছিল। অবশেষে মাঠে ফেরার পালা।
প্রত্যাশিত সময়ের মাস ছয়েক আগেই বাইশগজে ফিরতে পারছেন ঋষভ পন্থ। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। পন্থের সেরে ওঠার সফর প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিও তুলসী যুবরাজ বলছেন, ‘প্রথম যে বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলাম, ওকে স্ট্রেচারে করে রুমের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎই দেওয়ালে বা কিছুতে সামান্য ধাক্কা লেগেছিল স্ট্রেচারটির। ওর এতটাই ব্যাথা ছিল, সামান্য় ধাক্কাতেও সেটা চোখের সামনে ধরা পড়ছিল। রীতিমতো চিৎকার করছিল।’
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ফিজিও আরও জানান, চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন ঋষভের অন্তত দু-বছর সময় লাগবে ফিরতে। তবে ঋষভের আত্মবিশ্বাস এবং মানসিক শক্তি দেখে ভরসা পেয়েছিলেন যুবরাজ। ঋষভকে ফিট করে তুলতে একশো শতাংশ দিয়েছেন। এনসিএ-র আর এক ফিজিও ধনঞ্জয় কৌশিক বলছেন, ‘যা বলা হয়েছে, সব করেছে। ও যখন এনসিএ-তে এসেছিল, আর বর্তমানের ঋষভ পন্থ। পার্থক্যটা পরিষ্কার ধরা পড়ে। এটা ওর কঠোর পরিশ্রমের জন্য়ই সম্ভব হয়েছে।’
𝗧𝗵𝗲 𝗚𝗿𝗲𝗮𝘁𝗲𝘀𝘁 𝗖𝗼𝗺𝗲𝗯𝗮𝗰𝗸 𝗦𝘁𝗼𝗿𝘆
In Part 2 of the #MiracleMan, we bring you insights from @RishabhPant17‘s road to recovery, where determination and perseverance ultimately triumph.
From intense rehabilitation sessions, training regime, and nutrition – the… pic.twitter.com/83YZExqkIa
— BCCI (@BCCI) March 16, 2024
মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের স্পোর্টস মেডিসিনের চিকিৎসক দিনশ পর্দিওয়ালা বলছেন, ‘ওর ফেরাটা সম্ভব হয়েছে এনসিএ এবং ওর নিজের পরিশ্রমে। আমরা যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে ছ-মাস আগেই ফিরছে। রিহ্যাব পর্ব দারুণ হওয়ার জন্যই এটা সম্ভব হচ্ছে।’