এ বারের অন্যতম ধারাবাহিক দল। রাজস্থান রয়্যালস হঠাৎই যেন অচেনা। হারের হ্যাটট্রিক থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। লিগ পর্বের শেষ দুটি হোম ম্যাচ গুয়াহাটিতে খেলছে রাজস্থান রয়্যালস। হারের হ্যাটট্রিকের পর হোমেও অস্বস্তিতে পড়তে হবে, তা হয়তো প্রত্যাশা করেননি সঞ্জু স্যামসনরা। তাদের বিধ্বংসী ওপেনার জস বাটলার দেশে ফিরেছেন। আর এক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল মরসুমে একটি সেঞ্চুরি করলেও ফর্ম খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যে ব্যাটিং অর্ডার বিধ্বংসী দেখাচ্ছিল, হোম ম্যাচে সেটাই অস্বস্তি হয়ে দাঁড়াল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৪৪ রান তুলল রাজস্থান।
আগের রাতে দিল্লি ক্যাপিটালস হারিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। এর ফলে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যায় রাজস্থান রয়্যালসের। যদিও প্রথম দুইয়ে থাকা এখনও নিশ্চিত নয়। আজকের ম্যাচটা জিতলে সেই সম্ভাবনা বাড়ত। প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে পঞ্জাব কিংস। তাদের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন দেশে ফিরেছেন। আর এক বিদেশি পেসার কাগিসো রাবাডাও চোটের কারণে দেশে। সেই ভাঙাচোরা পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও ব্য়াট হাতে ভরসা দিতে ব্যর্থ রাজস্থান।
টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাটলার না থাকায় যশস্বীর ওপেনিং সঙ্গী হন টম কোহলার ক্যাডমোরে। বিশ্বের নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এবং ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম। ভারতের মাটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ। আইপিএল অভিষেকে ২৩ বলে ১৮ রান। যশস্বী জয়সওয়াল প্রথম ওভারেই ডাগআউটে।
ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন শুরুটা দারুণ করেছিলেন। কেরিয়ারে প্রথম বার আইপিএলের এক সংস্করণে ৫০০ রানও পেরিয়ে যান। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। রাজস্থান ইনিংসে সর্বাধিক স্কোর ‘ঘরের ছেলে’ রিয়ান পরাগের। ৩৪ বলে ৪৮ রান তাঁর ব্যাটে। ৯ বলে ১২ রানের অবদান ট্রেন্ট বোল্টের। এখন বোল্টদের হাতেই রাজস্থানের হার-জিত।