ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং ট্রফির খরা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব যে কবে মিটবে, এই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। প্রতিবারই দুর্দান্ত টিম গড়ে আরসিবি। ট্রফির অনেক কাছেও পৌঁছেছে। কিন্তু ট্রফি জেতা হয়নি। গত মরসুমে শুরু থেকে হতাশার পারফরম্যান্স। হঠাৎই মাঝপথে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। প্লে-অফেও জায়গা করে নিয়েছিল আরসিবি। সেখানেই দৌড় শেষ। আরসিবির ট্রফি জিততে না পারার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়, ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। বিরাট কোহলি ছাড়া আর কেউই ধারাবাহিক নন। ফলে তারকা সমৃদ্ধ দল গড়লেও আক্ষেপ মিটছে না। আগামী আইপিএল নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিটি দলেরই। কী হতে পারে আরসিবির রূপরেখা?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আগামী মরসুমে মেগা অকশন হবে। তবে বেশ কয়েকজন প্লেয়ারকে রিটেন করারও সুযোগ থাকবে। এখনও অবধি সেই সংখ্যাটা জানায়নি আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। সূত্রের খবর, ৬ জন প্লেয়ারকে রিটেন করা যাবে। তাঁদের মধ্যে একজন নিঃসন্দেহে বিরাট কোহলি। এ ছাড়াও আরসিবি যাঁদের রিটেন করতে পারে, তাঁরা হলেন-মহম্মদ সিরাজ, রজত পাতিদার, যশ দয়াল, উইল জ্যাকস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পর আরিসিবির দায়িত্ব সামলেছেন ফাফ ডুপ্লেসি। তাঁকে এ বার রিটেন না করার সম্ভাবনাই বেশি। বরং নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে ঘরের ছেলেকে। অতীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সে খেলেছেন এই শহরেরই লোকেশ রাহুল। এরপর পঞ্জাব কিংস। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের অভিষেক থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাহুল। প্রথম দু-মরসুমেই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল রাহুলের নেতৃত্বে। গত মরসুমে প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ লখনউ। তার উপর কর্ণধারের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে এ বার লোকেশ রাহুল লখনউতে থাকবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি আরসিবিতে আসতে পারেন এবং তাঁকে আরসিবির নেতৃত্বও দেওয়া হতে পারে। সেই সম্ভাবনা প্রবল।