গ্রুপসেক্স-মদ-গাঁজা, অকপট জীবনের কথা বললেন এই প্রখ্যাত ক্রিকেটার

Jun 18, 2024 | 9:00 AM

Cricket adulatory controversy: এখানেই শেষ নয়। নিজের কাছে সৎ থাকতে চেয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে তাই কিছুই লুকোতে চাননি হার্শেল গিবস। সেখানে যেমন লিখেছেন, কোচ মিকি আর্থার পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, যদি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে হয়, নেশামুক্ত হতে হবে। কোচের কথাতেই রিহ্যাবে গিয়েছিলেন হার্শেল গিবস। আত্মজীবনীর চ্যাপ্টার থ্রি-তে মহিলাঘটিত নানা বিষয়ে লিখেছেন গিবস।

গ্রুপসেক্স-মদ-গাঁজা, অকপট জীবনের কথা বললেন এই প্রখ্যাত ক্রিকেটার
Image Credit source: প্রতীকী ছবি

Follow Us

ক্রিকেট কেরিয়ারে আর দু-রকম পরিচয়। দুর্দান্ত ব্যাটার, তেমনই ভালো ফিল্ডার। আর একটা পরিচয়, ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাড-বয় নামেই পরিচিত। মদ থেকে মারিজুয়ানা। কোনও নেশাই বাদ রাখেননি। পরিস্থিতি এমন ছিল, তাঁকে রিহ্যাবেও যেতে হয়েছে। ক্রিকেট কেরিয়ার কিংবা পারফরম্যান্স নিয়ে কোনও অভিযোগের জায়গা নেই। কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলার ক্ষমতা রাখেন। কোনও ম্যাচে রান না পেলে ফিল্ডিংয়ে পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর কাছে বল যাওয়া মানেই প্রতিপক্ষ ব্যাটারের রান নেওয়ায় আতঙ্ক। একটু ভুলচুক হলে এক থ্রোয়ে উইকেট ভেঙে যেতে পারে। এ তো গেল ক্রিকেটীয় দিক, এর বাইরের মানুষটাকে নিয়ে যেন তাঁর নিজেরই অস্বস্তি!

দলের মধ্যে ছোট্ট একটা দল। আর তাঁদের নানা কীর্তি। সেগুলো অবশ্য গর্বের নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ এক দশকের কেরিয়ার। হার্শেল গিবসের নামের সঙ্গে জুড়ে ছিল ব্যাড বয় তকমা। তবে ২০১০ সালে ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল তাঁর আত্মজীবনী। যার নাম ‘টু দ্য পয়েন্ট’। নামের মতোই একদম অকপট সত্য তুলে ধরেছেন হার্শেল গিবস। মদের নেশা ছাড়তে তাঁকে কতটা লড়তে হয়েছে, রিহ্যাব প্রক্রিয়া, মারিজুয়ানার মতো ভয়ঙ্কর নেশা, ক্যাপ্টেন হ্যান্সি ক্রোনিয়ের সঙ্গে গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে ছ-মাসের নির্বাসন। সব প্রসঙ্গই তুলে ধরেছেন। মিকি আর্থারের মতো প্রভাবশালী কোচ থাকা সত্ত্বেও দলের মধ্যে কী ভাবে ‘ব্যাড বয়দের’ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল, সবই আত্মজীবনীতে প্রকাশ্য়ে এনেছেন।

এখানেই শেষ নয়। নিজের কাছে সৎ থাকতে চেয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে তাই কিছুই লুকোতে চাননি হার্শেল গিবস। সেখানে যেমন লিখেছেন, কোচ মিকি আর্থার পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, যদি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে হয়, নেশামুক্ত হতে হবে। কোচের কথাতেই রিহ্যাবে গিয়েছিলেন হার্শেল গিবস। আত্মজীবনীর চ্যাপ্টার থ্রি-তে মহিলাঘটিত নানা বিষয়ে লিখেছেন গিবস। তাঁর ভাষায়, ‘তখন আমার বয়স কুড়ির ঘরে। সেই বয়সে অনেকেই সেক্স করে। আমি ক্রিকেটার বলেই বিষয়টা আলাদা নয়। দুর্দান্ত একটা সময় কাটিয়েছি ওই বয়সটাতে। আমি কিন্তু কারও নাম প্রকাশ্যে আনিনি।’

আত্মজীবনীতে তুলে ধরেছেন, সতীর্থদের নিয়ে তিনি গ্রুপ সেক্সও করেছেন। এটা তাঁর কাছে লুকনোর বিষয় মনে হয়নি। তাঁর মনে হয়েছিল, আত্মজীবনীতে সত্যি কথাই থাকা উচিত। টেনিস কিংবদন্তি আন্দ্রে আগাসীর আত্মজীবনীতেও এমন অনেক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যা টেনিস বিশ্বে বিতর্ক তৈরি করেছিল। জীবন থেকে না ভেগে আগাসীর মতোই সবটা খোলামেলা জানাতে চেয়েছিলেন গিবস। সে কারণে, সমস্তটা লিখেছেন।

Next Article