সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্তী : অপেক্ষার ৫ ম্যাচ পার… এই অপেক্ষা আসলে দিল্লি ক্যাপিটালসের (DC) ১৬তম আইপিএলে (IPL 2023) প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়ার অপেক্ষা। গত আইপিএলে এত খারাপ অবস্থা ছিল না দিল্লির। বছর ঘুরতেই দিল্লি কেমন যেন পাল্টে গিয়েছে। ক্যাপিটালসের ডাগআউটে যে তাবড় তাবড় ক্রিকেটাররা রয়েছেন যেমন – কোচ রিকি পন্টিং, ডাইরেক্টর অব ক্রিকেট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁদের কেরিয়ারে যত রান রয়েছে তাঁর বিন্দুমাত্র ছাপও দেখা যাচ্ছে না দিল্লি শিবিরে। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে আজ ডাবল হেডার। উইকএন্ড নয়, এ বারের মরসুমে প্রথম উইক ডে’জ এ আইপিএলের ডাবল হেডার পড়েছে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে এমন দু’টো দল যারা জয়ের জন্য মরিয়া। একদিকে টানা ৫ ম্যাচে হেরে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া দিল্লি ক্যাপিটালস, অন্যদিকে ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা ও হারের হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। বিস্তারিত প্রিভিউ পড়ুন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
চলতি আইপিএলে যে পাঁচটি ম্যাচে খেলেছে দিল্লি, সবক’টিতেই আলাদা একাদশ দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, দিল্লির বোলিং বিভাগ কোনও দলকেই তাদের দেওয়া টার্গেট আটকে দিতে পারেনি। একইসঙ্গে দিল্লির ব্যাটিং বিভাগ নিয়েও রয়েছে বিরাট চিন্তা। একা ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার কুম্ভ হয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তো দল জিততে পারবে না। বাকিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। একাদশে না থাকলেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে পৃথ্বী শ ওপেন করছেন দিল্লির ইনিংসের। চলতি মরসুমে তিনি চরম ব্যর্থ। এ বার জিততে চাইলে ক্যাপিটালসের ওপেনিং জুটি বদল করতে হবে।
দিল্লির বিরুদ্ধে নামার আগে নাইট সেঞ্চুরিয়ান ভেঙ্কি জানান দলের প্রয়োজনে তিনি বল করতেও তৈরি। এনসিএও তাঁকে বল করার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। তিনি এ বারের আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে ছাপ রেখেছেন। যদিও শেষ ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরি দলকে জেতাতে পারেনি। তাই তিনি বলেন, ‘আমার ১০৪ রান করাটা বড় ব্যাপার নয়। যেহেতু দল জেতেনি। পরের ম্যাচগুলোতে দলকে জেতাতে চাই। আইপিএলের মতো আন্তর্জাতিক স্তরের টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলেই বিশেষ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রয়েছে। তাঁরা অনেক ভাবনা চিন্তা করেই সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অনেক ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার গেম চেঞ্জার হয়ে উঠছে। তবে এই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আসায় অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব আগের তুলনায় কমছে।’
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ব্যাটাররা বোলারদের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে হাই স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে। এই পিচে বোলারদের পক্ষে ব্যাটারদের আটকানো বেশ কঠিন। এ বার দেখার দিল্লি নাকি কেকেআর কোন দলের ব্যাটারদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয় কোন দলের বোলারদের। চলতি মরসুমে নাইটদের জয়ের অন্যতম মন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে স্পিন বিভাগ। যে ম্যাচগুলিতে কেকেআরের স্পিনাররা সফল হয়নি, সেই ম্যাচগুলিতে নাইটদের বেশ চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। নাইটদের ফাস্ট বোলিং ত্রয়ী লকি ফার্গুসন, উমেশ যাদব এবং শার্দূল ঠাকুররা ছাপ ফেলতে পারছেন না। সম্মিলিতভাবে মাত্র ন’টি উইকেট নিয়েছেন তাঁরা। যা এই মরসুমে ১০ দলের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ বার দেখার লক্ষ্মীবারে লক্ষ্মীলাভ হয় কাদের।