কলকাতা: এ মরসুমের আগে চিত্রটা ছিল পুরোপুরি অন্যরকম। ডার্বি হলেই অস্বস্তিতে থাকতেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। টানা আটটি ডার্বি হেরে ক্লান্ত। মরসুমের শুরুতে পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে টানা নয়টি ডার্বি হারার আতঙ্ক কাটাতে হত। কার্লেস কুয়াদ্রাতের টিম সেটাই করে দেখায়। সমর্থকদের বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করেছিল। মরসুম যত এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়েছে। কার্লেস কুয়াদ্রাত আরও একটা দিক তুলে ধরলেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক দিকে, টানা ডার্বি হারের যন্ত্রণা, অন্য়দিকে ট্রফির দেখা না পাওয়া। সর্বভারতীয় স্তরে ২০১২ সালে ট্রফি এসেছিল ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে। মোহনবাগানে একের পর এক ট্রফি। ডার্বির রেজাল্ট নিয়ে যেমন মাঠের বাইরে সমর্থকদের ‘ম্যাচ’ চলত, তেমনই ট্রফি নিয়েও। নানা সময়েই বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কলকাতা ফুটবলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এ কারণেই ঐতিহাসিক। এ বারের আইএসএলের আগে চিত্র কিছুটা পাল্টেছে। সদ্য কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। তাও আবার একশো শতাংশ জয়ের ধারা বজায় রেখে।
ডুরান্ড, সুপার কাপ ডার্বিতে এ মরসুমে জয় পেলেও আইএসএল এখনও অধরা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে প্রথম বার ডার্বিতে জয়ের স্বপ্ন লাল-হলুদ শিবিরে। নিজেকে যেন সমর্থকদের জায়গায় বসিয়েছেন কার্লেস। ডার্বির আগে বলছেন, ‘এখন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও বলতে পারবে, আমরা চ্যাম্পিয়ন।’ কার্লেস কুয়াদ্রাত পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডার্বিতে তিন পয়েন্টই লক্ষ্য। অধিনায়ক ক্লেটন সিলভাও বলছেন, ‘আমার পারফরম্যান্সের চেয়েও জরুরি দলের জয়। তিন পয়েন্ট দরকার। সেই লক্ষ্যেই খেলব।’