China On Indian Navy: ভারতীয় নৌসেনা কীভাবে চাপ বাড়াচ্ছে চিনের ওপর?
China On Indian Navy: ফিলিপিন্সের সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা হাত মেলাতেই চাপ বাড়ছে চিন। পাল্টা হুমকি চিনের। কী অবস্থা এই মুহূর্তে ভারত-চিন সম্পর্কের?
ভারত ও ফিলিপিন্সের যৌথ মহড়া চলছে দক্ষিণ চিন সাগরে। আর এতেই ক্ষেপে বোম চিন সেনা। এমন ক্ষেপেছে, যে চিনা সেনার হুমকি, দুই দেশের সীমান্তরক্ষা নিয়ে মহড়া যেন তৃতীয় দেশের বিষয়ে সমস্যা তৈরি না করে। চিনা সেনার পক্ষ থেকে এই মন্তব্যে স্পষ্ট, টার্গেট ফিলিপিন্স নয়। টার্গেট অবশ্যই ভারতীয় নৌসেনা। কেন?
শক্তি ও সংখ্যার নিরিখে ফিলিপিন্স ধারেকাছে নেই ভারতের। তবে কী এই মহড়ায় আসলে ভারতকেই ভয় পাচ্ছে চিন সেনা? কেন না তাইওয়ানের সঙ্গে সমস্যার পাশাপাশি ফিলিপিন্সের ওপরেও নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরের দখল নিতে তো ফিলিপিন্সের নৌসেনার সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছিল চিনের নৌসেনা। যা কয়েকদিন আগেই জানানো হয়েছে, ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা থেকে।
এবার যদি কম শক্তিধর ফিলিপিন্স নৌবাহিনীর সঙ্গে ভারত যৌথ মহড়া করে,তাহলে তো মহা বিপদ! এটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে চিন। চিনের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ এনেছে ফিলিপিন্স?
চলতি মাসেই ফিলিপিন্স নৌসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের জাহাজকে আক্রমণ করেন চিন। ওয়াটার ক্যানন দিয়ে তাঁদের জাহাজের ওপর আক্রমণ করা হয়। এই আক্রমণের কারণ দক্ষিণ চিন সাগরের দখল। শুধু ফিলিপিন্স নয়,মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ানও পাল্টা দাবি জানিয়েছে দক্ষিণ চিন সাগর দখলের।
চিন পরিষ্কার বুঝতে পারছে, ফিলিপিন্সের সঙ্গে ভারতের যৌথ মহড়া। এবার যদি মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ানের মত দেশও সাগরযুদ্ধে ভারতের সঙ্গে হাত মেলায়, তাহলে দক্ষিণ চিন সাগর দখলের যুদ্ধে কোনঠাসা হবে বেজিং।তড়িঘড়ি তাই নৌযুদ্ধের আগে বাগযুদ্ধে নেমে ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে চিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু হলে চিনের মত দেশ পাল্টা কামড় দেবে বিভিন্ন পন্থায়। তেমনই এই হুমকি। তবে চিনের এই হুমকিতে ভাবিত নয় ভারত।