Lalgarh, Jhargram River News: ঘুম উড়েছে কংসাবতী পাড়ে
নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় ঘুম নেই লালগড় ব্লকের কংসাবতী নদী তীরবর্তী বৈতা, নামো বৈতা, কুমোরপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। লালগড় ব্লকের বৈতা অঞ্চলের ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায় আতংকের মধ্যে রয়েছেন।
নদী ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় ঘুম নেই লালগড় ব্লকের কংসাবতী নদী তীরবর্তী বৈতা, নামো বৈতা, কুমোরপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। লালগড় ব্লকের বৈতা অঞ্চলের ওই গ্রামগুলির বাসিন্দারা নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায় আতংক এর মধ্যে রয়েছেন। কংসাবতী নদী ক্রমশ এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে, যে কোন সময় ঘর বাড়ি নদী গর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। দিনের পর দিন প্রত্যেক বছর বর্ষ ক্রমশ ভিটেমাটি চাষযোগ্য জমি নদীগর্ভে। প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী ভাঙ্গন রোধ করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।বর্ষা এলেই নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে।পাড় ক্রমশ ভাঙ্গতে শুরু করে আতঙ্কে তাই দিন কাটাই এই সমস্ত গ্রামের বাসিন্দারা। এমনকি প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছেন। মেলেছে কেবল আশ্বাস। কুমুরপুর গ্রামের কয়েক ফুট দূরেই রয়েছে নদী। তাই কংসাবতী নদী সংলগ্ন ওই গ্রামগুলির বাসিন্দা যে কোন সময় ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কা করছেন। নির্বাচন এলেই রাজনীতির দলের নেতারা ওই এলাকায় যায়, নদী ভাঙ্গন রোধে কাজের প্রতিশ্রুতি দেয় । কিন্তু ভোট চলে গেলে আর কোন দলের নেতারা যায়নি । যার ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা ।সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই তাদের বক্তব্য আর আশ্বাস নয় আগে নদীর পাড় বাঁধানো হোক তারপর ভোট। নদী পাড় বাঁধানোর কাজ না হলে ভোট বয়কটের ডাক কুমোরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের। যদি প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন বলে গ্রামবাসীরা জানান। শাসক দলকে কটাক্ষ বিজেপি জেলা সভাপতি তুফান মাহাত। লালগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিতোষ মন্ডলের আশ্বাস নদী বাঁধানোর কাজ অনেকটা এগিয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।