Natural Disaster: কাশ্মীরে ফিরল জোশীমঠের স্মৃতি, অপেক্ষা করে আছে মহাবিপদ?

ভোটের মরসুমে নেতারা আমাদের দরজায় আসছেন। কিন্তু সত্যি কথা বলুন তো, নিজের এলেকার পরিবেশ নিয়ে কটা প্রশ্ন নেতা নেত্রী করছি আমরা? আশে পাশে গাছ কোথায় যাচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়? প্রশ্ন তোলা জায় জলাভূমি ভরাট নিয়ে? প্রশ্ন তোলা যায় অপরিকল্পত নগরায়ন নিয়ে? ক্রমাগত অত্যাচারের এবার পাল্টা মার দিচ্ছে প্রকৃতি, চলছে তাণ্ডব।

Natural Disaster: কাশ্মীরে ফিরল জোশীমঠের স্মৃতি, অপেক্ষা করে আছে মহাবিপদ?
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 1:01 PM

পাহাড়ের কোলে একটা সুন্দর গ্রাম ছিল। কোনও ভূমিকম্প হয়নি। বন্যা হয়নি। তাও রাস্তা-ঘাট ভেঙে খানখান। বাড়ি-ঘর ধ্বংস। বিদ্যুতের টাওয়ার মাটিতে মিশে গেছে। কেন? হঠাত্‍ করেই মাটি বসে গেছে। যার ফল এই অবস্থা। এলাকার মানুষে জানেন না কী হচ্ছে। কেন হচ্ছে? প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাড়ি ঘর হারিয়ে রাস্তায়। প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই ছবি। যেটুকু বাঁচানো সম্ভব, সেটা নিয় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তার পর রাস্তা ভেঙে গেছে। পাহাড় থেকে মাটি ধসে রাস্তা বন্ধ।

হঠাত্‍ করেই মাটি বসে গেল কেন? প্রশ্ন আছে, কিন্তু উত্তর নেই কারও কাছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সংলগ্ন কিছু অংশে। কেন? রিসার্চ প্রয়োজন। রিসার্চ হবে। আবার উঠে আসবে কিছু তথ্য। কিন্তু সত্যিটা চাপা পরে যাবে টেবিলের নিচে। কারণ সেখানেই যে উঠে আসতে পারে প্রকৃতি নিয়ে সত্যি কথাটা। কিন্তু প্রকৃতি যে খুব বোরিং বিষয়। এটা নিয়ে ভাবার সময় কোথায়? কত কত কাজ বাকি বলুন তো, প্রকৃতির মত কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে লাভটা কী?

সময় খুব দামি তাই না! প্রকৃতির দাম সময়ের থেকে খুব কম তাই না। গতবছরের এমনই একটা পাহাড়ি অঞ্চলের ছবি মনে আছে? মনে করুন একটু, নামটা ছিল জোশীমঠ। কী অবস্থা হয়েছিল উত্তরখণ্ডের সেই পাহাড়ি অংশের? একের পর এক বাড়ি ভেঙে খানখান। সাধের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হয়েছিল স্থানীয় মানুষকে। তারপর কী হয়েছে? পাহাড়ের প্রকৃতি নিয়ে কোনও ভাবনা চিন্তা চোখে পড়েছে? নাহ, শুরুতেই বললাম, সময় খুব দামি। প্রকৃতির দাম তার থেকে অনেক কম।

আমাদের দেশের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে হিমালয়ের গুরুত্ব অনেকটা। হিমালয়ের ওপর মহাকাশ থেকে নজরদারি চালায় ইসরো। আর স্যাটেলাইটের তোলা ছবি বলছে, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত প্রাকৃতিপ হ্রদ গুলি বিপদ সংকেট দিচ্ছে। ইসরো জানিয়েছে হিমবাহ গলে প্রায় প্রতিটি হ্রদের জল বেড়েই চলেছে। গড়ে ৮৭ শতাংশ। হিমবাহ গলা জল থেকেই তৈরি হয় প্রাকৃতির লেক। জমে বৃষ্টির জলও। সেই লেকের জলেই নদির মধ্যে দিয়ে নেমে আসে সমতলে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। ক্রমাগত জলের পরিমাণ ও চাপ বাড়তে থাকলে প্রাকৃতির লেক গুলিতে ফাটল দেখা দিতে পারে। অনেকটা সিকিমের লোনাক লেকের মত। আর তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র সহ একাধিক পাহাড়ি নদি বেয়ে নেমে আসবে বান। যা মানুষের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।

ভোটের মরসুমে নেতারা আমাদের দরজায় আসছেন। কিন্তু সত্যি কথা বলুন তো, নিজের এলেকার পরিবেশ নিয়ে কটা প্রশ্ন নেতা নেত্রী করছি আমরা? আশে পাশে গাছ কোথায় যাচ্ছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়? প্রশ্ন তোলা জায় জলাভূমি ভরাট নিয়ে? প্রশ্ন তোলা যায় অপরিকল্পত নগরায়ন নিয়ে? ক্রমাগত অত্যাচারের এবার পাল্টা মার দিচ্ছে প্রকৃতি, চলছে তাণ্ডব।

Follow Us: