Schools face problem: চক-ডাস্টার কেনার পয়সাও নেই! এভাবেই চলছে স্কুল
Schools face problem: শিক্ষকদের একাংশের মত, পড়ুয়াদের থেকে মাথাপিছু বেতন যা পাওয়া যায়, তাতে স্কুলের রোজকারের খরচ সামলানো যায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাকিয়ে থাকতে হয় সরকারের কম্পোজিট গ্র্যান্টের দিকে।
হুগলি: অনুদান না পাওয়ার অভিযোগে বাঁকুড়ার একটা স্কুলে পড়াশোনা কার্যত লাটে ওঠার জোগাড়। কোনওরকমে চলছে ক্লাস। এমন নজির অসংখ্য। বাঁকুড়ার পাশের জেলা হুগলির একটি স্কুলের দুর্দশার ছবিটা একইরকম। হুগলির গোঘাটের এই প্রাইমারি স্কুলেও চক যে বাড়ন্ত! কুড়িয়ে-বাড়িয়ে জোগাড় করে তবে লেখালেখি শুরু হয়। খুব সাবধানে লিখতে হয়। একটা চক ভেঙে গেল তো সব গেল! এসব করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা। তাই চকের বিকল্প হিসেবে মাঝেমধ্যে খাতা, পেনে চলছে পড়াশোনা।
তার মানে পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য চক, ডাস্টার কোনওভাবে সামাল দিচ্ছেন শিক্ষকদের একটা অংশ। ধার বাকি করে কেউ সমস্যা বুঝতে দিচ্ছেন না। কেউ আবার নিজের পকেটের ভরসা রেখেছেন। তবে বিদ্যুতের বিল! সেখানে তো আর মুখ চেনা বলে বাকি দেওয়া যায় না। সেখানে তো তাই কম্পোজিট গ্র্যান্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতি কী অবস্থা স্কুলগুলির!
শিক্ষকদের একাংশের মত, পড়ুয়াদের থেকে মাথাপিছু বেতন যা পাওয়া যায়, তাতে স্কুলের রোজকারের খরচ সামলানো যায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাকিয়ে থাকতে হয় সরকারের কম্পোজিট গ্র্যান্টের দিকে। এই বরাদ্দে কোন সরকারের কত ভাগ, স্কুলগুলি কোন মাপকাঠিতে বরাদ্দ পায় সেটা একবার দেখা যাক।
বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কেন্দ্রের। ৬০ শতাংশ রাজ্যের। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলে ১ হাজার বা তার বেশি পড়ুয়া হলে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। যে সব স্কুলে পড়ুয়া ২৫১-৯৯৯, সেখানে বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকা। আর ১০০-২৫০ পড়ুয়া হলে বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা। ১০০ জনের কম পড়ুয়া হলে বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
আর এই অনুদান আপাতত না আসার অভিযোগ ঘিরে তুমুল ডামাডোল। অভিযোগ উঠছে স্কুলের দৈনন্দিন খরচের টাকা দিতে কার্যত অপারগ রাজ্য সরকার! শিক্ষাবর্ষের শেষ হতে চললেও, স্কুলে এল না কম্পোজিট গ্রান্টের ১ টাকাও! বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। এই খাতে ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্য সরকারের। কিন্তু, কেন্দ্র বলছে তো অন্য কথা।
রাজ্য বারবার দাবি করছে, হকের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের সাফ কথা, তারা যখন টাকা দিচ্ছে, তাহলে রাজ্যকে শর্ত মেনে চলতে হবে!
শিক্ষক সংগঠনগুলির এই চাপানউতোরে আগ্রহ নেই। তারা জানতে চাইছে, চক ডাস্টার কেনা হবে কী দিয়ে? কেন টাকা পাঠাচ্ছে না সরকার? শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, এবছর কম্পোজিট গ্র্যান্টের টাকা আসেনি। গত বছর কিছু স্কুলকে নাকি অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, ট্যাবের টাকা পাচ্ছে পড়ুয়ারা। পুজোর অনুদান বাড়ছে বছরভর। অথচ, স্কুল চালানোর জন্য টাকা আসছে না। অনুদান না আসায় হাজিরা খাতায় সই হচ্ছে না কোথাও কোথাও। লাইব্রেরির বই কেনার টাকা নেই।