Trump Putin: বৈঠক বরফের তলায়? পুতিনের আবদার শুনে ফাঁপরে পড়েছেন ট্রাম্প
ভারতের স্বাধীনতা দিবসেই দুনিয়ার অন্য প্রান্তে নজরকাড়া মেগা বৈঠক। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি বসছেন আলাস্কার অ্যাঙ্কারিজে। কেন পান্ডব বর্জিত এলাকায়? পুতিনের বিদেশ সফরের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। আলাস্কায় আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হয় না। তাই আলাস্কাতেই মুখোমুখি হচ্ছেন দুই নেতা। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়েই বৈঠক। ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোই মূল ইস্যু, […]
ভারতের স্বাধীনতা দিবসেই দুনিয়ার অন্য প্রান্তে নজরকাড়া মেগা বৈঠক। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি বসছেন আলাস্কার অ্যাঙ্কারিজে। কেন পান্ডব বর্জিত এলাকায়? পুতিনের বিদেশ সফরের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। আলাস্কায় আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হয় না। তাই আলাস্কাতেই মুখোমুখি হচ্ছেন দুই নেতা। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়েই বৈঠক। ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোই মূল ইস্যু, সঙ্গে আরও কিছু প্রস্তাব টেবিলে আসবে।
কয়েক দিন আগে ট্রাম্প প্রকাশ্যে পুতিনের সঙ্গে ডিল করা কঠিন বলে মন্তব্য করলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁকেই আমন্ত্রণ জানাতে হয়েছে। সূত্রের দাবি, ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ক্রেমলিনে তিনটি প্রস্তাব দেন, ইউক্রেন পারমানেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট অফ ল্যান্ড সোয়াপ অ্যান্ড সেটলমেন্ট। দুই, ট্রাম্প নিজে ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার ঝগড়া করতে মধ্যস্থতা করবেন। তিন, ট্রাম্প ক্রেমলিনে এসে পুতিন ও জেলেনস্কিকে পাশে নিয়ে সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণা করবেন। পুতিন রাজি হলেও আপত্তি তোলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। জেলেনস্কি সরাসরি ট্রাম্পকে ঘাঁটানোর সাহস পাননি। প্রকাশ্য বৈঠকে ঝাড় খাওয়ায় পর থেকে ট্রাম্প যা বলেন, সেটাই মেনে নিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি, উইটকফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ট্রাম্পের দূতের মুখেই তিনি খবর পান, ট্রাম্প পুতিনকে কী প্রস্তাব দিতে চলেছেন। এবং সেটা শুনে স্বভাবতই আঁতকে উঠেছিলেন। জেলেনস্কি তখন জার্মান প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেন, ‘দয়া করে কিছু একটা করুন। ট্রাম্প, ইউক্রেনের অনেকটা রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে চাইছেন।’ জার্মান প্রেসিডেন্ট সেই আর্জি শুনে ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন। ট্রাম্প হাড়ে চটে গিয়ে তার দূতকে বলে দেন, ‘জেলেনস্কি একটা আহাম্মক। ওর সঙ্গে আর কথা বলার দরকার নেই। যা করার আমি আর পুতিনই করে নেব।’
তবে সম্প্রতি এ নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, পুতিন নতুন দাবি তুলেছেন, গোটা পশ্চিম ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি। ট্রাম্প এতে সায় দিচ্ছেন না। ফলে বৈঠক হলেও সমাধানের সম্ভাবনা ক্ষীণ। এদিকে, প্রাক্তন এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা দাবি করেছেন, পুতিনকে ডেকে পাঠালেও মার্কিন গোয়েন্দারা ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছে, যা বাইডেন আমল থেকেই প্রস্তুত। বিষয়টি শুনে ইতিহাসে শিবাজি মহারাজ ও আফজল খাঁর বাঘনখের ঘটনার সঙ্গেও তুলনা টানা হচ্ছে।