কুকুররাই যে হতে পারে পরম বন্ধু তা আরও একবার বুঝিয়ে দিল এই ঘটনা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মা শেয়ার করছেন কী ভাবে তাঁর শিশুকন্যার জীবন বাঁচিয়েছে এই কুকুর। প্রথমদিকে তিনিও কুকুরটির আচরণে ভয় পেয়েছিলেন, বরং কুকুরের উৎপাতে একরকম বিরক্ত হয়েছিলেন বলা চলে। কিন্তু তাঁর সন্দেহ প্রকট হয় তখনই যখন তিনি দেখেন তাঁদের পোষ্য একটানা ডেকেই চলেছে। তাও আবার নার্সারিতে যেখানে তাঁর মেয়ে ঘুমিয়ে।
ঘনটাটি বিশদে তাঁর ট্যুইটারে লেখেন মিসেস অ্যান্ড্রু। সেখানেই তিনি লেখেন, ‘আমার মেয়ের শরীরটা বেশ কিছুদিন ধরেই খারাপ ছিল। আর এই কারণে আমি একটু বিষণ্ণ ছিলাম। মেয়ে ঠিক করে শ্বাস নিতে পারছিল না। সেই সঙ্গে আরও কিছু সমস্যা হচ্ছিল। আমার পোষ্য হেনরি প্রায়শই আমার মেয়ের নার্সারিতে ঘোরাফেরা করে। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ দেখলাম নার্সারিতে গিয়ে হেনরি খুবই চিৎকার করছে। ওর চিৎকারে আমরা তখন খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অসুস্থ মেয়েটাকে বিরক্ত করছে। কিছুক্ষণ পর গিয়ে আমরা দেখি মেয়ের শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মেয়ে যাতে শ্বাস নেয় তার জন্যই ক্রমাগত ও ডেকে যাচ্ছিল। এরপরই আমরা ছুটে যাই নার্সারিতে।
Last night the dog kept breaking into the nursery and waking the baby. She’s been sick, and I was getting so fed up with him.
Until she stopped breathing.
We spent the night in the hospital. I don’t know what would have happened if he hadn’t woken her. We don’t deserve dogs. pic.twitter.com/PBJCJVflgh
— kelly andrew ? (@KayAyDrew) December 14, 2021
মেয়েকে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটি হাসপাতালে। দুদিন হাসপাতালে থাকার পর মেয়ে এখন সুস্থ। সেদিন অন্ধকার রাতে হেনরিই আমাদের বাড়ি পাহারা দিয়ে রেখেছিল। একবারের জন্যও ভয় পায়নি। এরপর আরও একটি ট্যুইট করে শিশুটির মা লেখেন, হেনরি আমাদের কাছে দেবদূতের মতো। সেদিন ও যদি এভাবে চিৎকার না করত তাহলে কিন্তু আমরা কিছু বুঝতেই পারতাম না। ওর জন্যই আমাদের মেয়ে প্রাণে বাঁচল। অথচ সেদিন ওর উপর আমরা কত বিরক্তই না হয়েছি’।
দুদিন পরই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তাঁরা। মেয়ে আগের চাইতে এখন অনেকটাই ভাল, সেই সঙ্গে এখন তাঁরা চারজন একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন।
ট্যুইটারে এই ঘটনাটি শেয়ার করার পরই প্রচুর মানুষ তাতে লাইক, কমেন্ট করেছেন। অনেকেই তাঁদের বাড়ির পোষ্যর সঙ্গে সুন্দর সুন্দর স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। কেউ আবার বলেছেন, ‘আমরা মানুষরাই কুকুরদের যোগ্য সম্মন দিতে পারে না। ওদের মানবিকতার কাছে আমরা নেহাতই তুচ্ছ’। একজন ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এভাবেই একদিন তাঁর পোষ্য বেড়ালের জন্যই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল তার ছেলে’। অন্য এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ডায়াবিটিসের কারণে প্রায়শই তাঁর খিচুনি হত। একদিন তাঁর খুব বাড়াবাড়ি হয়। সেই সময় তাঁর পোষা কুকুর চিৎকার করে বাড়ির লোকজনকে জাগিয়ে তোলে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়ে যান তিনি। তবে এরপর যখনই তাঁর মন খারাপ হত তাঁর পোষ্য তাঁর কাঁধে এসে এমনভাবে হাত রাখত যে বোঝাত সব ঠিক হয়ে যাবে’।
আরও পড়ুন: Viral Post: বরকে পিছনের সিটে বসিয়ে বিয়ের আসরে স্কুটি নিয়ে গ্র্যান্ড এন্ট্রি কনের!