Sreemoyee Kanchan Marriage: নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকদের ‘না’, কী সাফাই কাঞ্চনের?
‘Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted.’ অর্থাৎ সহজ বাংলায় ‘সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…’ ৬ মার্চ, বুধবার কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের রিসেপশনের ভেন্যুর বাইরে রাখা ছিল এই প্ল্যাকার্ড।
নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়িচালকদের ‘না’
‘Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted.’ অর্থাৎ সহজ বাংলায় ‘সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…’ ৬ মার্চ, বুধবার কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের রিসেপশনের ভেন্যুর বাইরে রাখা ছিল এই প্ল্যাকার্ড। আর এই নিষেধবার্তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।
কটাক্ষ শ্রীলেখার
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপসনের ভেন্যুর বিতর্কিত নিষেধবার্তাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ফুঁসে উঠেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি লিখেছেন, “শুনেছি ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন বিভিন্ন ক্লাবে লেখা থাকত INDIAN AND DOGS ARE NOT ALLOWED। অর্থাৎ, ভারতীয় এবং কুকুরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমার এটা দেখা সেই কথাই মনে হল… একটাই কথা আমি বলব CLASS MATTERS, ক্লাস ম্যাটার্স।”
মর্মাহত প্রসেনজিতের নিরাপত্তারক্ষী
এই ঘটনার জেরে মর্মাহত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নিরাপত্তরক্ষী রাম সিং। TV9 বাংলাকে রাম বলেন, “আমাদের ‘not allowed’ বলা হয়েছে, দেখলাম। কুকুর-বিড়ালের পর্যায়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে আমাদের। খুব খারাপ কাজ করেছেন এটা কাঞ্চনবাবু। এমনটা আশা করিনি। আমার ব্যক্তিগতভাবে খারাপ লেগেছে। আমি অপমানিত হয়েছি খুবই।”
বুম্বাদা ঢুকতেন না পার্টিতে: রাম
রাম সিং TV9 বাংলাকে আরও বলেছেন, “দাদার কাছেও মনে হয় কাঞ্চনবাবুর রিসেপশনের আমন্ত্রণ ছিল। তিনি যেতে পারেননি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে। তবে সেখানে গিয়ে এমন একটা কথা দেখতে পেলে আমার বিশ্বাস, দাদা নিজেও ঢুকতেন না পার্টিতে। গেট থেকেই ফিরে আসতেন। এমন কথা কোনওদিন যে শুনব, তা কল্পনাও করিনি। এটা আমাদের প্রাপ্য নয়।”
কেন টার্গেট হয়েছি, জানি না: কাঞ্চন
তাঁর কথাতেই কি ক্যামাক স্ট্রিটের ভেন্যুতে রাখা হয়েছিল ওই নিষেধবার্তা? এই প্রশ্নের উত্তরে কাঞ্চন মল্লিক TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমি কেন টার্গেট হয়েছি, জানি না। আপনারা সকলেই দেখেছেন আমার রিসেপশনের কার্ড। সেখানে কোত্থাও, কোনও জায়গায়, কোনওভাবে লেখা নেই প্রেস, ড্রাইভার, কিংবা নিরাপত্তারক্ষীরা আসতে পারবেন না। এটা আমার শিক্ষা, সহবতে লিখতেই পারি না।”
আমার কোনও দায় নেই: কাঞ্চন
অভিনেতা তথা জন-প্রতিনিধি কাঞ্চন মল্লিক এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলাকে আরও বলেছেন, “ভেন্যুতে আমরা বলেছিলাম, আপনারা দয়া করে বলবেন, যাঁরা-যাঁরা আসছেন আমন্ত্রিতদের সঙ্গে, তাঁরা ফার্স্ট ফ্লোরে অপেক্ষা করবেন, বাকিরা উঠে আসবেন। গেস্ট লিস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ভেন্যুতে। এবং তাঁরা সেটা বুঝে কী লিখেছেন, আমি জানিই না। এই সমস্ত কিছুতে আমার কোনও দায় নেই।”
আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী: কাঞ্চন
যাবতীয় দায় ভেন্যু কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দিয়ে কাঞ্চন মল্লিকের সংযোজন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে অপমান করিনি অনুষ্ঠানে। আমার কাছে কেয়ার গিভার মানুষ, ড্রাইভার মানুষ, পাইলট মানুষ, নিরাপত্তারক্ষীরা মানুষ, আমার কাছে মিডিয়ার লোকেরাও মানুষ। আমি তাঁদের নিজে থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একেবারেই অপমান করতে চাইনি। তা-ও বলছি, যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, আমি তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।”
এই কাঞ্চনকে আমি চিনি না: পিঙ্কি
এই বিতর্ক প্রসঙ্গে কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্য়ায় TV9 বাংলাকে বলেছেন, “সত্যি বলতে কী, আমি এই কাঞ্চনকে চিনিই না। আমার চেনা কাঞ্চন মল্লিক কোনওদিনও কোনও ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীকে এভাবে অপমান করেননি কোনওদিনও। আমি আর আমার ছেলে ওশ বুদ্ধদেবের আরাধনা করি। আমরা আমাদের গাড়ির ড্রাইভারকে ‘ড্রাইভার দাদা’ বলি না কেউ। আমার ছেলে তাঁদের ‘সারথি’ বলে ডাকে।”
‘যা বলেছেন, তাই-ই করেছি’: ভেন্যু কর্তৃপক্ষ
কাঞ্চন দাবি করেছেন, তিনি নিষেধবার্তার কথা জানেনই না। দায় চাপিয়েছেন ভেন্যু কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে। এ দিকে TV9 বাংলাকে ‘গ্যালেরিয়া ১৯১০’-এর সাফ প্রতিক্রিয়া, “আমাদের যদি নির্দেশ না-দেওয়া হয়, আমরা কী লিখতে পারি এরকম? ২৫০ জনের আসন ছিল। গেস্ট লিস্ট ছিল ২৪৭। আমাদের বলা হয়, গেস্ট লিস্টের বাইরে কাউকে না ঢোকাতে। তবে গেটের বাইরে যে লেখা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেই লেখার দায়ভার আমাদের নয়।”