Elephant School: মাহুত একবার বীর বলে ডাকলেই দুলতে দুলতে এসে হাজির হয় সে…

Sujit Roy | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 30, 2024 | 9:42 AM

Jaldapara: ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবস্তি রেঞ্জের বনকর্মীরা একদিন দেখেন উত্তাল তোর্সায় একটা পুচকে হাতি অসহায়ের খড়কুটোর মতো ভেসে আসছে। তখন ভরা কোভিড। আবার বর্ষাও। খরস্রোতা তোর্সার মুখে ঝাঁপ দিয়ে হস্তিশাবককে উদ্ধার করে আনেন বনকর্মীরা।

Elephant School: মাহুত একবার বীর বলে ডাকলেই দুলতে দুলতে এসে হাজির হয় সে...
'এলিফ্যান্ট স্কুলে' হাতির ছানা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলং সেন্ট্রাল পিলখানা। বনদফতরের খাতায় যা ‘এলিফ্যান্ট স্কুল’ বা হাতির পাঠশালা। যেমন তেমন পাঠশালা নয়, এখানে আবাসিক হিসাবে থেকে দিনের পর দিন প্রশিক্ষণ নেয় তারা। এই যেন ‘বীর’। সেই কবে তোর্সার জলে ভেসে এসেছিল একরত্তি হাতির ছানা। পাঠশালায় গুরুমশাইয়ের কাছে সহবত শিখে সেই বীর এখন কুনকি হওয়ার পথে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবস্তি রেঞ্জের বনকর্মীরা একদিন দেখেন উত্তাল তোর্সায় একটা পুচকে হাতি অসহায়ের খড়কুটোর মতো ভেসে আসছে। তখন ভরা কোভিড। আবার বর্ষাও। খরস্রোতা তোর্সার মুখে ঝাঁপ দিয়ে হস্তিশাবককে উদ্ধার করে আনেন বনকর্মীরা। যখন তাকে উদ্ধার করা হয়, একেবারে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল। এতক্ষণ জলে থেকে কেমন একটা হয়েও গিয়েছিল।

এই খবরটিও পড়ুন

দিনরাত এক করে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণ চিকিৎসক উৎপল শর্মার নেতৃত্বে একটি টিম ওই শাবকের জীবন বাঁচান। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হলংয়ের স্কুলে। তখনও বীর অনেকটাই দুর্বল। গুঁড়ো দুধের তরল মিশ্রণও গিলতে পারত না। মুখের ভিতর ফানেল ঢুকিয়ে খাওয়ানো হতো।

বনকর্মী ছেরণ সুব্বা তো কোলের সন্তানের মতোই দেখভাল করত বীরের। ছেরণকে রাতেও থাকতে হতো বীরের সঙ্গে। তাঁকে না দেখলেই কেমন যেন একটা করত। আসতে আসতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। বীরও ধাতস্থ হয়। এরপর সহবত শেখানো শুরু। সঙ্গে হাঁটা, ছোটা সব শেখে। হনহনিয়ে ছুটে বেড়াত।

এখন বীর কিছুটা বড় হয়েছে। আদর্শ কুনকি হয়ে ওঠার জন্য অনেক কিছুই শিখেছে সে। বনকর্মী আর মাহুতরা তার নাম দিয়েছিল বীর। মাহুত রোহিত ইসলাম একবার যদি বীর বলে হাঁক দেয়, শুঁড় তুলে ছুট শুরু।

জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, “ওকে বাঁচানোটাই এক সময় আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন ওর মধ্যে আমরা আদর্শ কুনকি হাতি হয়ে ওঠার সব লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।” জলদাপাড়ায় ৫টি হস্তিশাবক রয়েছে। কলাবতী, রেয়ানদের সঙ্গে আদরে প্রশ্রয়ে বীরও বেড়ে উঠছে সেখানে।

Next Article