Indus Case: রাতেই নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় বিজেপি বিধায়ক, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত

BJP MLA: গৃহবধূর অভিযোগ, সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই তিনি ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন। কিছু সময়ের জন্য ছেলে পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে যেতেই ঘটে এ ঘটনা। আচমকা বাড়িতে ঢুকে আসে এক প্রতিবেশী যুবক। তারপরই শুরু হয় নির্যাতন।

Indus Case: রাতেই নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় বিজেপি বিধায়ক, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত
শেষ পর্যন্ত অ্যাকশন নিল পুলিশ Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Oct 15, 2025 | 9:17 AM

ইন্দাস: শ্লীলতাহানিতে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল কর্মীর। স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে গেলেও থানায় অভিযোগ জানাতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেষে বিজেপি নেতার সঙ্গে সোজা পুলিশ সুপারে অফিসে চলে গিয়েছেন গৃহবধূ। দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোরও হয়। রাতেই গৃহবধূকে সঙ্গে নিয়ে রাতে থানায় হাজির হয়েছিলেন খোদ বিজেপি বিধায়কও। অভিযোগ দায়েরের কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই শেষ পর্যন্ত অ্যাকশন নিল পুলিশ। রাতেই গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। 

গ্রেফতার করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ। এদিনই ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে ভরসন্ধ্যায় বাড়ি ঢুকে ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানির ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া। ধৃতের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে নির্যাতিতার পরিবারও। গৃহবধূর অভিযোগ, সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই তিনি ছেলেকে পড়াচ্ছিলেন। কিছু সময়ের জন্য ছেলে পাশেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে যেতেই ঘটে এ ঘটনা। আচমকা বাড়িতে ঢুকে আসে এক প্রতিবেশী যুবক। তারপরই শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী হাওয়ার কারণেই দলীয় নেতৃত্বের তরফে তাঁকে থানায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। যদিও পাল্টা তৃণমূল সব দাবি অস্বীকার করে জানায় এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। অভিযুক্তও দলীয় কর্মী নন। এরই মধ্যে পুলিশ সুপারের অফিসে জমা পড়ে অভিযোগ। 

রাতেই আবার নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে ইন্দাস থানায় হাজির হন ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধাড়া। লোকাল থানাতে এবার অভিযোগ জমা জমা পড়ে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। তার কিছু সময় যেতে না যেতেই পাকড়াও অভিযুক্ত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, ধর্ষণের চেষ্টা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে পাঠানো হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে।