বাঁকুড়া: মধ্যরাতে হঠাৎই তাদের আগমন। অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েই ইন্ডাস্ট্রিয়ালের কর্মীরা বিষয়টা আঁচ করতে পেরেছিলেন। তাঁরা বেরিয়ে এসে দেখেন, যা আশঙ্কা করেছিলেন, সেটাই সত্যি। তবে এবার আরও দলবল পাকিয়ে এসেছে তারা। ইন্ডাস্ট্রিয়ালের করিডর ছেড়ে তারপর তারা উঠে পড়ে জাতীয় সড়কে। মধ্যরাতে সড়কের মাঝে তাদের দেখে দাঁড়িয়ে যায় পণ্যবাহী গাড়ি। আবারও বাঁকুড়ার বড়জোড়া দুর্লভপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর জুড়ে চলল হাতির তান্ডব। শুক্রবার গভীর রাতে একদল হাতি কোনওভাবে ওই করিডরের উপর এসে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ধরে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক ছিল হাতিদের দখলে।
আতঙ্কে ওই করিডর দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পরে বন দফতর, স্থানীয় বাসিন্দা ও যানবাহনের চালকরা সম্মিলিতভাবে হাতিগুলিকে ওই করিডর থেকে সরিয়ে দিলে ফের ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। জঙ্গল ছেড়ে বারংবার এভাবে হাতির দল লোকালয়ে চলে আসায় আতঙ্কিত বাঁকুড়ার জঙ্গললাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড়জোড়ায় হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে দুজনেরই। গত বুধবারই মধ্যরাতে শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন বছর পঁচিশের এক তরুণী। সেসময়ে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল একটি হাতি। ওই তরুণীকে পিছন থেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারে, তারপর ৩০ মিটার হিঁচড়ে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঠিক তাঁর দুদিন আগেই ওই এলাকাতেই আরও এক বৃদ্ধা জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির মুখে পড়ে যান। তাঁরও মর্মান্তিক পরিণতি হয়। এভাবে বারবার জঙ্গল, রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া ছেড়ে হাতির গ্রামে ঢুকে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা।