বীরভূম: বগটুইকাণ্ডে এবার অভিযুক্তদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করবে সিবিআই। অকুস্থল অর্থাৎ সোনা শেখের বাড়ি থেকে যে লোহার রড, তেলের জার, পর্দা ঝোলানোর রড, ধারালো অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা, তা থেকে হাত ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এছাড়াও সোনা শেখে ও আশেপাশের যে বাড়িগুলিতে ২১ মার্চ রাতে আগুন লাগানো হয়েছিল, সেখান থেকেই আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করবে সিবিআই। এরপর ধৃতদের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। এদিকে,মঙ্গলবারই রামপুরহাট আদালতে সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দির আবেদন জানাবে সিবিআই। যদিও, সোমবার এই আবেদন জানানোর কথা ছিল। কোনও কারণবশত তা হয়নি।
যে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁদের এবার বয়ান রেকর্ড করতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মূলত যাঁরা সোনার শেখের বাড়ির আশেপাশে থাকেন, বাকি যে ছ’টি বাড়ি পুড়েছে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চাইছে সিবিআই। গোপন জবানবন্দি পর্যায়টি তদন্ত প্রক্রিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। ৭ এপ্রিল হাইকোর্টে এই মামলার প্রথম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। গোয়েন্দারা চাইছেন, সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে যতটা সম্ভব গোপন জবানবন্দি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে। প্রথম ধাপে গ্রামের বাসিন্দাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। পরবর্তী পর্যায়ে, যাঁরা জখম, যাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই তিন জনেরও গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।
গত সপ্তাহেই শেখলাল ও মিহিলালের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আলাদাভাবে তাঁদের বক্তব্য সংগ্রহের পর তা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি বগটুই কাণ্ড দুই গ্রামবাসীরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
যদিও এরই মধ্যেই মিহিলালের বিরুদ্ধেই একটি বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছেন। তিনি নাকি প্রতিবেশী এক কিশোরকে তদন্তকারীদের কাছে তাঁর শেখানো বুলিই বলার জন্য চাপ দিয়েছেন। না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন রোশনারা বিবি। যদিও এই নিয়ে মিহিলালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।