বীরভূম: প্রথমে মনে করা হচ্ছিল রাজনৈতিক কারণে খুন। তারপর উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিবাহবিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমীর থাণ্ডার। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। তার মধ্যে কৃষ্ণ দোলুই, বাবলু হালদার, বিশ্বজিৎ দাস, শিলা দাস, সবিতা দাস, সঞ্চিতা দোলুই।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই সবিতা দাসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পঞ্চায়েত সদস্য সমীর থাণ্ডারের সম্পর্ক ছিল। তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখে ফেলেন সবিতা দাসের স্বামী বিশ্বজিৎ দাস। তারপরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এবং তার ফলেই মৃত্যু হয় সমীর থাণ্ডারের। আর তার সঙ্গে বাকিরা অর্থাৎ বিশ্বজিৎ দাসের বেশ কিছু বন্ধু এবং তার স্ত্রী রাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। তাই ইতিমধ্যেই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত শনিবার কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন সমীর। পরিবারের দাবি, সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফোন করে জানান, কয়েকজন তাঁকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। রাস্তায় পড়ে রয়েছেন তিনি। ফোন পেয়েই স্ত্রী তাঁকে উদ্ধার করতে সেই এলাকায় পৌঁছন। সমীর সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শিয়ান হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে বর্ধমানে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার মৃত্যু হয় সমীরের।