কৌশিক ঘোষ ও রূপক সরকার
মুর্শিদাবাদ ও বালুরঘাট: আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। এই পরিস্থিতিতে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বালুরঘাট হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট হাসপাতালে। অভিযোগ, সময়মত চিকিৎসক যাননি হাসপাতালে। তার জেরেই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর অভিযোগ বালুরঘাট হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, প্রায় ২ ঘন্টা পর যান চিকিৎসক৷ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান প্রতিবাদীরা। সোমবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। যায় কমব্যাট ফোর্স। এইনিয়ে হাসপাতাল সুপার ও স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে মৃতের শিশুর পরিবার।
জানা গিয়েছে, আট বছরের ওই শিশুটির নাম শিবম শর্মা। বাড়ি বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে। ভোর চারটে নাগাদ ওই নাবালক পরিবারের লোকেদের সঙ্গে পতিরামে শিবমন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছিল। সেই সময় পেছন থেকে একটি টোটো গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ওই শিশু। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, চার ঘণ্টা ওপিডিতে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেওয়া পাওয়া যায়নি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আউটডোর বিভাগে চিকিৎসা করিয়ে রোগীর ভর্তি করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে দেরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর মৃত্যু হয় ওই রোগীর। মৃতের নাম পিয়ারুল শেখ (৩৫)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার মহেশপুর এলাকায়। পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, “আমাদের পেশেন্টের মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। আমরা সকাল ৮টা নাগাদ ভর্তি করি। ডাক্তার দেখতে আসে সাড়ে ১২টা নাগাদ। তাহলে কীভাবে বাঁচানো যায়!” আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দিন দুয়েক ধরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। কর্ম বিরতির ফলে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবার।