জলপাইগুড়ি: ১০০ দিনের টাকা বেনিফিশিয়ারিদের দিতে পারছি না। আবাস যোজনা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। গ্রামে গেলেই মানুষ ঘিরে ধরে। আমার কাছে মানুষজন অভিযোগ জানায়। কিন্তু আমি কিছু করতে পারি না। রাজ্যের অতিরিক্ত প্রধান সচিবকে হাতের কাছে পেয়ে তাঁর সমস্যার কথা সরাসরি জানিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত সদস্য। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বর্তমানে জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকার রাঙামালি টি জি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই ক্যাম্প এদিন পরিদর্শনে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হর্টিকালচার দফতরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি ডক্টর সুব্রত গুপ্ত। সেখানে তখন অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য সরিতা বার্লা। অনুষ্ঠান চলাকালীন তিনি মাইকে ডক্টর সুব্রত গুপ্তর কাছে ১০০ দিনের টাকা ও আবাস সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডক্টর সুব্রত গুপ্ত বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য ১০০ দিনের টাকা ও আবাস সমস্যার কথা বললেন। কিন্তু এগুলি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের ব্যাপার নয়। এটা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়। তারা এই সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু আজকে যেহেতু উনি আমাকে নতুন করে তার সমস্যার বিষয়টি নিয়ে অবগত করলেন। তাই আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি নিশ্চয়ই জানাব।