জলপাইগুড়ি: দশ দফা দাবি নিয়ে যখন আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তিলোত্তমার ন্যায় বিচার সহ নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে আনশন চালাচ্ছেন তাঁরা, সেই সময় ফের একবার মহিলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এলাকার এক বৃদ্ধে বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস আগে চাকরি পেয়ে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে যোগ দেন জলপাইগুড়ি শহরের বছর বাইশের এক যুবতি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তিনি অফিসেই ছিলেন। ফাঁকা ছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ওই সময় প্রেশার মাপানোর অছিলায় ফাঁকা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীর দাবি, সেই সময় তিনি ওই তরুণীর হাত ধরে টানাটানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই তরুণী চিৎকার করলে আশপাশে থাকা মানুষজন ছুটে আসে। অভিযুক্তকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে যায় বাড়ির লোকেরাও। এরপর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এই মুহূর্তে তরুণীর কাউন্সিলিং চলছে বলে জানা গিয়েছে।
মহিলা স্বাস্থ্য় কর্মীর মামা বলেন, “এই ঘটনা শুনে আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই। আমরা গ্রামে যাই। গিয়ে দেখি নতুন তৈরি হচ্ছে হেলথ সেন্টার। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। নেই সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তার কোনও ব্যাবস্থা নেই। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
যদিও, অভিযুক্ত ব্যক্তি যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অপর দিকে পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।