Calcutta High Court: একজন দিলেন কারাদণ্ড, একজন করলেন বেকসুর খালাস, ফাঁসির মামলায় নজিরবিহীন রায়
Calcutta High Court: ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর কালিম্পং থানা এলাকার তাসিডং গ্রামের বাসিন্দা হরকা বাহাদুর হরকা এবং তাঁর স্ত্রী বিষ্ণুমায়া ছেত্রী খুন হন নিজের বাড়িতেই। এরপর তদন্তে নামে কালিম্পং থানার পুলিশ। তদন্তে স্থানীয় বাসিন্দা, পেশায় ড্রাইভার কৃষ্ণ প্রধানকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি: জোড়া খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির রায়দানেও রয়ে গেল জটিলতা। ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেই মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। সেই মামলাতেই দুই বিচারপতির মত পার্থক্য। মামলা গড়াল প্রধান বিচারপতির এজলাসে। মামলায় রায় দিতে গিয়ে দুই ভিন্নমত পোষণ করলেন দুই বিচারপতি। এবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে যাবে সেই মামলা।
২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর কালিম্পং থানা এলাকার তাসিডং গ্রামের বাসিন্দা হরকা বাহাদুর হরকা এবং তাঁর স্ত্রী বিষ্ণুমায়া ছেত্রী খুন হন নিজের বাড়িতেই। এরপর তদন্তে নামে কালিম্পং থানার পুলিশ। তদন্তে স্থানীয় বাসিন্দা, পেশায় ড্রাইভার কৃষ্ণ প্রধানকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে পুলিশ। কালিম্পং আদালতে চলে মামলা। বিচারক অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন অভিযুক্ত। আইনজীবী হিসেবে সওয়াল করেন অর্জুন চৌধুরী।
গত এপ্রিল মাসে একটানা শুনানি হয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল ওই মামলার রায়দান। মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতি দুই রকম রায় দেন।
অভিযুক্তের আইনজীবী অর্জুন চৌধুরী জানিয়েছেন, এই মামলার রায়দান করতে গিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেন অভিযুক্তর ফাঁসির সাজা রদ করে ১৩ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। অপরদিকে বিচারপতি পার্থসারথি সেন সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেন।
ঘটনায় সার্কিট বেঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট পাবলিক প্রসিকিউটর অদিতি শঙ্কর চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই মামলায় দুই বিচারপতি দুই রকম রায় দিয়েছেন। তাই এই মামলা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের এজলাসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।