Malda farmer death: ‘ওই জয়দেবের তন্ত্র-মন্ত্রেই তো অসুস্থ হয় সবাই’! সালিশিসভার নিদানেই খাওয়ানো হল মল-মূত্র, তারপরই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 06, 2024 | 9:41 AM

Malda farmer death: বৃদ্ধের মেয়ে জানান, তাঁর বাবাকে সালিশিসভায় ডেকে খাওয়ানো হয় মল-মূত্র। তারপর বাড়ি ফিরে ভেঙে পড়েন জয়দেব। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মৃত্যুর কারণ নিয়ে। 

Malda farmer death: ওই জয়দেবের তন্ত্র-মন্ত্রেই তো অসুস্থ হয় সবাই! সালিশিসভার নিদানেই খাওয়ানো হল মল-মূত্র, তারপরই উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
মালদহে কৃষকের মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: ফের প্রকাশ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি। সালিশিসভায় খাওয়ানো হল মল-মূত্র। তারপরই উদ্ধার কৃষকের ঝুলন্ত দেহ। আত্মহত্যা নাকি খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে কীভাবে সালিশিসভায় এমন নিদান দেওয়া হতে পারে! কী এমন অপরাধ ছিল কৃষকের? মৃতের নাম জয়দেব বর্মণ(৬০)। অভিযোগ, গ্রামে কেউ অসুস্থ হলেই নাকি ধরে নেওয়া হত সবই জয়দেবের জন্য হয়েছে। জয়দেব নাকি তন্ত্রসাধনা করে এমন কিছু করতেন, যাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষজন। এটাই বিশ্বাস করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু জয়দেবের মৃত্যুর আগে যা ঘটে, তা শিউরে ওঠার মতো।

বৃদ্ধের মেয়ে জানান, তাঁর বাবাকে সালিশিসভায় ডেকে খাওয়ানো হয় মল-মূত্র। তারপর বাড়ি ফিরে ভেঙে পড়েন জয়দেব। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মৃত্যুর কারণ নিয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক কিশোরী। আর তাতেও নাকি দায়ী করা হয় জয়দেব বর্মণকে। অভিযোগ, ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর কৃষককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সালিশি সভায় বসানো হয়। এরপর মল মূত্র খাইয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বুধবার রাতে জয়দেবকে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বাড়ি থেকে নিয়ে যায় বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর। তারপর রাতে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পিছনে গাছ থেকে উদ্ধার হয় কৃষকের ঝুলন্ত দেহ।

মৃতের পরিবারের দাবি, কুসংস্কারের বলি হয়েছেন জয়দেব বর্মণ। তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারে রয়েছে তাঁর তিন মেয়ে ও স্ত্রী। রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। মালদহের চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের কারও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Next Article