মালদহ: চলছিল বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তারই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ যেতেই তুলকালামকাণ্ড। পুলিশকে তাড়া বিক্ষোভকারীদের, পাল্টা পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। পুলিশের জিপেও ব্যাপক ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র মালদহের মানিকচক এলাকা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের রতুয়া ও মানিকচক এলাকা। দুটো ক্ষেত্রে বিক্ষোভের কারণ আলাদা। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে মানিকচকে। নেপথ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। মানিকচকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যুৎ পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, প্রায় ২০ টি গ্রামে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার পর থেকে কারেন্ট চলে যায়। পরের দিন বেলায় বিদ্যুৎ আসে। ফের সন্ধ্যা বেলা থেকেই গোটা গ্রাম অন্ধকার। অভিযোগ, এইভাবে বেশ কিছুদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে। আগে বিদ্যুৎ দফতর, ব্লক প্রশাসনে যোগাযোগও করেছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। শেষমেশ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গেই ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশকে তাড়া করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। এরপর পুলিশের বিরুদ্ধে ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ। তাতে আহত হন দুজন। গ্রুত তাঁদেরকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পুলিশের বক্তব্য, গুলি চালানো হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। দু’তরফেই আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মীদেরও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এই মুহূর্তে রয়েছে RAF।
আক্রান্ত এক ব্যক্তি বলেন, “একটা বাড়ির পিছন থেকে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার পায়ে লাগল।” অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে মালদহ পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “প্রশাসন দেখছে। যদি দেখা যায়, অন্যায়ভাবে গুলি চলেছে, নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করা হবে। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”