মুর্শিদাবাদ: চলছে পঞ্চায়েত ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপরও হিংসার ঘটনায় খামতি নেই। সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যপাল যখন মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন, তার আগেই ফের খুনের অভিযোগ উঠল সেই জেলাতেই। শুক্রবার অর্থাৎ ভোটের ঠিক একদিন আগে সকালে এক কংগ্রস কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসক দলের পাল্টা দাবি, কংগ্রেস কর্মীই আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদেই ভোট-পূর্ব হিংসায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
অরবিন্দ মণ্ডল নামে কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি, তৃণমূলের লোকজন বেধড়ক মারধর করেছে। তার জেরেই এই মৃত্যু। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিমাই মণ্ডল বলেন, “যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তিনিই আগে লাঠি নিয়ে আমাকে মারতে এসেছিলেন। সেই ছবি আমার কাছে আছে। আমাদের এলাকা শান্তিপূর্ণ। তৃণমূল জিতবে বুঝতে পেরে ওরা নিজেরাই মারধর করছে। নিজেরাই নিজেদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলছে।”
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের দাবি, যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁকে কেউ একটা চড়ও মারেনি। অভিযোগ দায়ের হলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
একের পর এক অভিযোগে কার্যত ত্রস্ত মুর্শিদাবাদ। বৃহস্পতিবার এই জেলাতেই যুব তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের সেই মহিলাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের সাদিপুরে এক সিপিএম প্রার্থীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতেই এক তৃণমূল প্রার্থীকে বোমা মারার অভিযো উঠেছে মুর্শিদাবাদে। শুক্রবারই এই জেলা পরিদর্শন করবেন রাজ্যপাল।