মুর্শিদাবাদ: রাতের অন্ধকারে আঠার ড্রামে মেশানো হচ্ছিল জল! কাণ্ড দেখে চোখ কপালে বাসিন্দাদের। এলাকায় চলছে পিচের রাস্তা তৈরির কাজ। সেই রাস্তায় যে আঠা ব্যবহার করা হবে, তারই ড্রামে জল মেশানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। নীল ড্রামের গায়ে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, Do Not Mix Water অর্থাৎ জল মেশাবেন না। সেই ড্রামে কার নির্দেশে মেশানো হল জল?
মুর্শিদাবাদের ডোমকল থানার সুলতানপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার ঘটনা। শুক্রবার রাতে বিষয়টা চোখে পড়তেই সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় খবর পৌঁছতেই ছুটে যান অনেকে। কর্মীদের দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করা হয়, কার নির্দেশে হচ্ছে এসব। কর্মীদের দাবি, সুপারভাইজারের নির্দেশেই নাকি এভাবে মেশানো হচ্ছে জল।
একটানা বৃষ্টিতে বহু জায়গায় রাস্তায় নেমেছে ধস। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে রাস্তার মাঝে। বৃষ্টি কমতেই তাই অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে পিচ রাস্তা মেরামতের কাজ। এখন প্রশ্ন হল, পিচ রাস্তার কাজে আঠার বদলে যদি জল মেশানো হয়, তাহলে কীভাবে টিকবে রাস্তা?
সুলতানপুর থেকে ভগীরতপুর পর্যন্ত পিচ রাস্তার কাজ চলছে। গত রাত্রে স্থানীয়রা অন্ধকারের মধ্যে দেখতে পান মিট মিট করে আলো জ্বলছে। কাছে যেতেই তাঁদের চোখ কপালে! একাধিক ড্রামে জল ভরা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকায় শুরু হয় হইচই শুরু হয়ে যায়। সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিকদের আটকে রেখে ডোমকল থানায় খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।