নদিয়া: মেলায় ভিতরে মদ্যপ সিভিক ভলান্টিয়রের তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। ভাঙচুর ক্লাবের আসবাব পত্র। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় এলাকায়। অভিযোগ, তারপরও বিপত্তি। পাল্টা গ্রামবাসীদের উপর আক্রমণ পুলিশের। মারে জখম মহিলা থেকে শিশু। অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়রের অপকর্ম ঢাকতে উল্টে গ্রেফতার করা হয় ওই ক্লাবের তিন সদস্যকে।
এ দিকে আবার পুলিশের দাবি, মেলা বন্ধ করতে বলাকে কেন্দ্র করে তাদের আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই কারণেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও, অভিযোগ খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বক্তব্য পুলিশের। ঘটনাটি নদিয়ার তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা এলাকার।
সূত্রের খবর,তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা এলাকার পৌষ কালী পুজোর মেলা সুষ্ঠুভাবেই শুরু হয়েছিল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ প্রশাসন। শনিবার ছিল শেষ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাত্রি আনুমানিক দশটা নাগাদ অশান্তির সূত্রপাত হয়। অভিযোগ,ক্লাব ঘরের মধ্যে মদ্যপান করছিলেন তাহেরপুর থানার কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ার অপূর্ব বিশ্বাস। এই অনুষ্ঠানে অপূর্ব বিশ্বাসের ডিউটি থাকাকালীন ক্লাব ঘরের মধ্যে মদ্য পান করে ক্লাবের টেবিল চেয়ার থেকে টিভি ভাঙচুর শুরু করে। এরপর ক্লাবের সদস্যরা প্রতিবাদ করাতেই তাদের উপর চড়া হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়র। তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিতে থাকেন।
এরপরই শুরু হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়র ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তাহেরপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে এলাকায় ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। একাধিক গ্রামের মহিলারা আক্রান্ত হন। আহত হয় শিশুও।এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। গ্রেফতার হওয়া তিন সদস্যকে আদালতে পাঠায় তাহেরপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে ওই সিভিক ভলান্টিয়র।