Sandeshkhali: এতদিনে গোপন ছিল! সন্দেশখালির পুলিশের অভিযোগ ক্যাম্পে পঞ্চম দিনে পড়তে শুরু করল একেবারেই নয়া চমকে দেওয়ার মতো অভিযোগ

Aritra Ghosh | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 28, 2024 | 11:42 AM

Sandeshkhali: অন্যদিকে বছর ৪৫ এর সামশুল মোল্লার অভিযোগ, কাঠপোল বাজার এলাকায় ছিল তাঁর টেলারিংয়ের দোকান। সিরাজ ওই এলাকায় মার্কেট করবে বলে উঠিয়ে দেন দোকান। দোকান দেওয়া হবে সামশুলকে।

Sandeshkhali: এতদিনে গোপন ছিল! সন্দেশখালির পুলিশের অভিযোগ ক্যাম্পে পঞ্চম দিনে পড়তে শুরু করল একেবারেই নয়া চমকে দেওয়ার মতো অভিযোগ
সন্দেশখালিতে পুলিশের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: বিক্ষোভ, প্রতিবাদের আগুনকে প্রশমিত করতে পুলিশের তরফ থেকে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া-সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে।   চারদিন ধরেই চলছে পুলিশের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র। জমি দখলের একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে অভিযোগকারীদের জমি ফেরতের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আজ পঞ্চম দিন। পঞ্চম দিনেও অভিযোগ জমা দিতে লাইন দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে এবার জমি দখলের মতো অভিযোগ জমা পড়ছে না। যা অভিযোগ জমা পড়ছে, তাতে দুর্নীতির আরও দিক প্রকাশ্যে। এবারে অভিযোগ টাকা আত্মসাৎ, আমফানের ঘর ভেঙে যাওয়ার পরেও সরকারি সুবিধা না পাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছে।

কাঠপোল বাজার এলাকায় ক্যাম্পে এরকমই অভিযোগ জানাতে এলেন নীতিশ আরি, শামসুল মোল্লা, নলো ধারারা। বছর ৩২ এর নীতিশ আরির অভিযোগ, শেখ সিরাজ এবং অজিত মাইতি তাঁর কাছ থেকে টাকা নেন। টাকা না দিলে জমি দখলের ভয় দেখান। ইতিমধ্যেই সিরাজ কে ২৫,০০০ টাকা এবং অজিত কে ১৫,০০০ টাকা দেন অভিযোগকারী। সেই টাকা ফেরত পেতেই এবার পুলিশের দ্বারস্থ অভিযোগকারী।

অন্যদিকে বছর ৪৫ এর সামশুল মোল্লার অভিযোগ, কাঠপোল বাজার এলাকায় ছিল তাঁর টেলারিংয়ের দোকান। সিরাজ ওই এলাকায় মার্কেট করবে বলে উঠিয়ে দেন দোকান। দোকান দেওয়া হবে সামশুলকে। তবে অভিযোগ, বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই দোকান ফিরিয়ে দেননি সামশুলকে। তাই অগত্যা এবার দোকান ফেরত পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ সামশুল।

আমফানে ঘর বাড়ি ভেঙে গেলেও এখনও পাননি কোনও সাহায্য। তাই সরকারি সাহায্য পেতে পুলিশের ক্যাম্পে অভিযোগ নলো ধারার। পাননি বার্ধক্য ভাতার টাকাও।

গত দেড় মাস ধরে সন্দেশখালি বাংলার হটস্পট।  বিক্ষোভ, নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ সামনে আসছে, তার ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছে বাংলা। কেন্দ্র থেকে ছুটে এসেছে টিম। পুলিশের ওপর যে কোনও আস্থা নেই, তা সন্দেশখালির মানুষ বারবারে প্রকাশ্যে বলেছেন। মানুষের আস্থা ফেরাতে পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। অভিযোগ নিতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয় অভিযোগগ্রহণ ক্যাম্প। গ্রামবাসীদের অভিযোগের কথা শোনার জন্য চালু করা হয় পুলিশের অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র। পুলিশের দেওয়া সূত্র অনুযায়ী, প্রথম দিনেই পুলিশের কাছে জমা পড়েছিল ৭৩টি অভিযোগ। রবিবার অর্থাৎ দ্বিতীয় দিনে জমা পড়ে ৫৭টি অভিযোগ।  তৃতীয় দিনে এখনও পর্যন্ত ৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের অভিযোগ জমা কেন্দ্রে। প্রতিদিনই ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ছে।

Next Article
Election Commission: ভোট প্রস্তুতি তুঙ্গে, আজ আয়কর ইডি-র সঙ্গে বৈঠক কমিশনের
Sheikh Shajahan: খেলা শেষ! অবশেষে গ্রেফতার শেখ শাহজাহান