পানিহাটি : একই দিনে জোড়া খুন। খুন হলেন রাজ্যের দুই কাউন্সিলর। একজন কংগ্রেসের এবং অপরজন তৃণমূলের। একটি খুনের ঘটনা পুরুলিয়ার ঝালদায়। আরেকটি ঘটনা ঘটেছে কলকাতার উপকণ্ঠে উত্তর ২৪ পরগনায়। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চলল পানিহাটিতে। এই তৃণমূল নেতা পানিহাটি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর। তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি গুলি কাঁধেও লাগে। তারপরই চোখ বন্ধ হয়ে যায় তৃণমূল নেতার। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবিবার নিজের ওয়ার্ডের একটি পার্কে কাজ দেখভাল করতে বেরিয়েছিলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। সেই সময়ই তাঁকে গুলি করা হয়। একদম সামনে থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতী। একটি গুলি মাথায় ও আরেকটি কাঁধে লাগে। কাছেই সাগর দত্ত হাসপাতাল। তড়িঘড়ি তাঁকে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে পরে সেখান থেকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের। খবর পেয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন খড়দহ থানার পুলিশ। তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে পুলিশ জানিয়েছে, একজন অল্প বয়সী ছেলে গুলি করে তৃণমূল কাউন্সিলরকে। গুলি করেই সে তেঁতুলতলার নির্জন এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। সেই এলাকায় থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, আজ সকালেই অনুপম তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সেই সময় তিনি তাঁর বন্ধুদের নিজের প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু কে, কারা করতে পারে এই কাজ তার কোনও উল্লেখ করেননি।
একই দিনে পরপর দুটি খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভর সন্ধেয় খুন করা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। যেখানে জনপ্রতিনিধিদের খুন হতে হচ্ছে। ভর সন্ধেয় প্রকাশ্যে খুন করা হচ্ছে নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা কোথায়! প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নায়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অনুপম দত্তের খুন প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি মনে করে যে পুলিশ তার কাজ করবে। যারা বাংলাকে বদনাম করার বাইরে থেকে এসে কাউন্সিলর বা সাধারণ মানুষকে খুন করছে পুলিশ তাদের খুব তাড়াতাড়ি ধরবে।”