
আসানসোল: গাড়ি আছে। নম্বর আছে। গাড়িতে লেখা রয়েছে পুলিশ। গাড়ির মাথায় লাল নীল সাদা আলো কিন্তু RTO দফতরের কাছে এই গাড়ির নম্বরের কোন হদিশ নেই। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে পরিবহন অ্যাপ। গাড়ির নম্বর WB40G9920, সাদা রংয়ের সুমো। RTO র ভাষায় wrong vehicle নম্বর। এমনই অবস্থা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাউথ পুলিশ ফাঁড়ির টহলদারি গাড়ির।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট অফিস, পুলিশ লাইন, কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ি, আসানসোল দক্ষিণ থানা, আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়ি, আসানসোল আদালত চত্বর এমনকি জিআরপি। এই সমস্ত জায়গার গাড়িগুলির বেহাল দশা। কারও ইন্সুরেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ, কারও আরসি ক্যানসেল, কারো ফিটনেস মেয়াদ উত্তীর্ণ, কারও আবার দূষণ মেয়াদ উত্তীর্ণ । পুলিশের সুমো গাড়ি, সাদা বা সবুজ বাস, কাল প্রিজন ভ্যান। ক্যামেরাবন্দি এসব গাড়িগুলির এরকম বেহাল দশা শুধু তাই না বেশিরভাগ গাড়ি আবার ভগ্নপ্রায়।
গাড়ি চালকের দাবি এই গাড়িটি তাদের নামে মালিকের। তারা অন্য গাড়ি চালান সেই গাড়ি ব্রেক ডাউন হয় এই গাড়ি নিয়ে এসেছে তাই ইন্সুরেন্স মেয়াদ নিয়ে তারা কিছু বলতে পারবেন না। আবার কোন কোন গাড়ি চালক ছবি উঠছে দেখে তারাও পাল্টা ছবি তোলা শুরু করেন। বিরোধীদের অভিযোগ, ট্রাফিক অ্যাওয়ারনেস চলছে। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে না না অনুষ্ঠান কর্মসূচি। সাধারণ মোটর বাইক চালকদের পান থেকে চুন খসলেই ফাইন। কিন্তু আইন রক্ষাকারীরা নিজেরাই আইন ভাঙছেন।
যদিও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি ট্রাফিক বলেন, তাঁর নজরে এমন কিছু পড়েনি। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ করবেন। বিরোধীদের দাবি, এই কাজ নাগরিকের নয়, পুলিশেরই এই কাজ দেখার। পুলিশ নিজের দাড়ি এড়াচ্ছে এবং নিজেরাই নিজেদের আইন ভাঙছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, যেসব গাড়ি মালিকরা পুলিশদেরকে ভাড়া দিচ্ছেন তাদেরকে আরও সতর্ক হওয়া উচিত গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করে তবে ভাড়া দেওয়া উচিত।
সম্প্রতি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার কনভয়ের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কনভয়ে যে গাড়িটি ব্যবহার করা হচ্ছিল, তার মেয়াদ আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবুও কেন সেই গাড়ি কনভয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।