AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR in Bengal: খসড়া তালিকা বেরতেই ‘নিখোঁজ’ পিসি, রাগে ফুঁসছেন তৃণমূল নেতা

West Bengal SIR Draft List: একই বাড়িতে থাকেন তাঁর দিদি, বছর ৮৮-এর সারথী মণ্ডল। তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। কিন্তু এসআইআর-এ প্রকাশিত খসড়া বাদের তালিকা অনুযায়ী আপাতত নিখোঁজ। আর এই দেখেই মাথায় হাত গোটা পরিবারের। ভীমচন্দ্রের পুত্র সন্টু মণ্ডলের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে।

SIR in Bengal: খসড়া তালিকা বেরতেই 'নিখোঁজ' পিসি, রাগে ফুঁসছেন তৃণমূল নেতা
ভোটার তালিকা নিয়ে জটImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2025 | 11:37 AM
Share

আসানসোল: এসআইআর-এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই নিখোঁজ পিসি। জীবিত বাবা রাতারাতি হয়ে গেলেন মৃত। যা নিয়ে ক্ষোভ চড়েছে আসানসোলের সালানপুরের মণ্ডল পরিবারের অন্দরে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের মাজি পাড়ার বাসিন্দা ভীমচন্দ্র মণ্ডল। বয়স ওই ৭০-এর গোড়ায়। সম্প্রতি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর তিনি নিজের নাম খুঁজে পেয়েছেন এএসডি বা বাদ পড়াদের তালিকায়। তাঁর নামের পাশে লেখা রয়েছে মৃত।

একই বাড়িতে থাকেন তাঁর দিদি, বছর ৮৮-এর সারথী মণ্ডল। তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। কিন্তু এসআইআর-এ প্রকাশিত খসড়া বাদের তালিকা অনুযায়ী আপাতত নিখোঁজ। আর এই দেখেই মাথায় হাত গোটা পরিবারের। ভীমচন্দ্রের পুত্র সন্টু মণ্ডলের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তিনি তৃণমূলের বুথ সভাপতি। অগত্যা বাবা ‘মৃত’ এবং পিসি ‘নিখোঁজ’ হতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি।

সন্টুর অভিযোগ, ‘গত ২৮ নভেম্বর আমরা সবাই একসঙ্গে ফর্ম জমা দিয়েছি। এখানে জন্মেছি, এখানেই বড় হয়েছি। বাবা স্থানীয় হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। এই সব কিছুর নেপথ্য়ে বিজেপির হাত রয়েছে। ওদেরই চক্রান্ত। আমরা তো এখানে তৃণমূল পরিবার বলেই পরিচিত। এই খবর পাওয়ার পর থেকে বাবা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, পিসিও চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন।’

তবে এই ঘটনার পরেই মণ্ডল পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলও সঞ্চিতা সাহা। সন্টু মণ্ডলকে তাঁর বাবা ও পিসির নাম তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিন টিভি৯ বাংলার তরফেও ওই বিএলও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই জায়গাটা আমার জন্য় নতুন। যাঁরা বিএলএ ছিলেন, তাঁরা সহযোগিতা করেননি। তার মধ্যেও আমরা কাজ করছি। এর মাঝেই এমন একটা ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে চিন্তার তো কোনও কারণ নেই। এটা তো আর চূড়ান্ত তালিকা নয়।’ অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ রায় বলেন, ‘এরকম কিছু টেকনিক্য়াল ত্রুটি হতেই পারে। এর নেপথ্যে চক্রান্তের তো কোনও কারণ নেই। বিএলও-কে তো আর বিজেপি নিয়োগ করে না। পেটে শিক্ষা থাকলে এমন কথা বলত না।’