মেদিনীপুর: বিজেপির গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যের কোমরে বন্দুক ঠেকিয়ে তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সেখানে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের মনসুকা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের খড়কপুর গ্রামের ঘটনা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মনসুকা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথ খড়কপুর। অভিযোগ, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ মণ্ডল সেখানেই বাড়ির পাশের মাঠে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাঁকে খাসবাড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আরও অভিযোগ, একটি কাগজে তাঁকে দিয়ে সই করানো হয়। সেখানে লেখা ছিল, চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন তিনি।
ওই বিজেপি সদস্যকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন। এলাকার মোট ৬ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সুভাষ মণ্ডল তাঁদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতা গঙ্গা কারক-সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাঁকে মারধর করেছে। সুভাষ মণ্ডল জানান, বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
যদিও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাটালের তৃণমূল নেতা বিকাশ কর। তাঁর দাবি, এই সমস্ত অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন তিনি।
তৃণমূল পরিচালিত মনসুকা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসন। এরমধ্যে ৪টি আসন বিজেপির। বাকি ১১টি আসন দখল করে তৃণমূল। যদিও কিছুদিন আগে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করেন তৃণমূলে। ১৫টি আসনের মধ্যে ১২টি তৃণমূলের এবং ৩টি বিজেপির।
বিকাশ করের কথায়, “আমরা এই গ্রামপঞ্চায়েতে বোর্ডে আছি। ভাল কাজ হচ্ছে। এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি খোঁজ নেব। কারণ একজন পঞ্চায়েত সদস্যকে নেওয়ার জন্য ত্রাহি ত্রাহি রব আমরা তুলব না কখনওই। পুলিশ সবটা খতিয়ে দেখবে। এধরনের মারধর, অশান্তি কোনও কিছুতেই আমরা নেই। যার কথা শুনছি, গঙ্গা এ ধরনের কাজ করতে পারে না।”