পশ্চিম মেদিনীপুর: আভার নেই আবাস! জাতীয় ক্রীড়াবিদ আভা খাটুয়ার পরিবার পায়নি আবাস প্রকল্পের ঘর। প্যারিস অলিম্পিকে (শটপাট বিভাগে)যোগদানকারী মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের আভা খাটুয়া বাংলা থেকে খেলার কোনও সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় বাধ্য হয়েছিলেন বাংলা ছাড়তে। বাংলার মেয়ে খেলেন মহারাষ্ট্রের অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে। যে আভা গোটা বাংলা তথা দেশের গর্ব, সেই আভারই নেই মাথার উপর ছাদ?
আভার বাবা লক্ষ্মীকান্ত খাটুয়া। কখনও দিনমজুরি করেন, কখনও আবার মাদুরকাঠি বোনেন। আর এভাবেই সংসার চলে তাঁদের। তিনি বলেন, “মাদুর বুনি, অন্যের বাড়িতে গিয়ে কাজ করি। তাতে সংসার চলে। কী করব বলুন? কাজ না করলে তো খেতে পাব না। সরকার থেকে কিছুই পাইনি আমরা। আবাসের বাড়ি পাইনি, মেয়েটারও কিছু হয়নি এখান থেকে। মেয়ে এক টাকা সাহায্য রাজ্যের কোথাও থেকে পায়নি।”
আভার বাবা বলেন, “আবাসের জন্য পঞ্চায়েতে দরখাস্ত করেছিলেন। যতবার দুয়ারে সরকার হয়েছে, ততবার দরখাস্ত করেছি। আমাকে এ পর্যন্ত কিছুই বলেনি, কিছু দেয়নি। বাংলা থেকে মেয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলার জন্য তো মন কাঁদে, কিন্তু কী করবে, আর্থিক অবস্থার জন্য বাইরে যেতে হয়েছে। এই যে এত খবরে মেয়ের কথা বলছে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রশাসন যোগাযোগ করেনি।”
আভার মা মল্লিকা খাটুয়ারও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, “কেউ বাড়িতে আসেনি, কেউ খবরও নেয়নি।” তবে স্থানীয় খুড়শি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ময়না বেরার বক্তব্য, বাড়ির সার্ভে হয়েছিল। তবে কেন ঘর পাননি, সেটা তিনি জানেন না। বলছেন, “রয়েছি তো আমরা।” নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঊষা ঘোড়ুই জানান কোথাও একটা গাফিলতি ছিল নিশ্চয়ই। সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।