Trinamool Congress: পার্টি অফিস কার? একে অপরকে মেরে রক্তারক্তি কাণ্ড তৃণমূল কর্মীদের, জেলেও ঠাঁই হল কয়েকজনের

Manatosh Podder | Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 21, 2024 | 11:50 PM

Trinamool Congress: এলাকার তৃণমূল কর্মী মনোজ উদ্দিন আবার বলছেন, “সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজনের অনেকে আগে সিপিএম করত। কয়েকজন কিছুদিন আগে বিজেপিও করেছে। তাঁরাই এখন বাজার বুঝে দখলদারির রাজনীতিতে নেমে পড়েছে। তারই পরিণামে এ ঘটনা।”

Trinamool Congress: পার্টি অফিস কার? একে অপরকে মেরে রক্তারক্তি কাণ্ড তৃণমূল কর্মীদের, জেলেও ঠাঁই হল কয়েকজনের
শোরগোল এলাকার রাজনৈতিক মহলে

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: পার্টি অফিস থাকবে কার দখলে তা নিয়ে ঝামেলা। প্রথমে বচসা, তারপর তা গড়াল হাতাহাতিতে। সূত্রের খবর, যাঁরা ঝামেলায় জড়ালেন তাঁরা সকলেই শাসকদলেরই কর্মী। তৃণমূলেরই দুই দুই গোষ্ঠীর তীব্র সংঘাতে উত্তপ্ত হল পূর্ব বর্ধমানের রায়নার মোগলমারী। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে রায়না থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে জোর শোরগোল। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠছে তাতে দুই শিবিরের একদিকে রয়েছেন এলাকায় বিধায়ক শম্পা ধাড়ার লোকজন। অন্যদিকে রয়েছেন রায়না ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বামদেব মণ্ডলের লোকজন। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই মূল বিবাদ। সূত্রের খবর, এতদিন বিধায়ক গোষ্ঠীর দখলেই ছিল মোগলমারীর তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়। কিন্তু তাহলে ঝামেলা সূত্রপাত কোথায়? বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে ব্লক সভাপতির লোকজন পার্টি অফিসের দখল নিতে আসে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই তা রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের। 

এই খবরটিও পড়ুন

এলাকার তৃণমূল কর্মী মনোজ উদ্দিন আবার বলছেন, “সভাপতির গোষ্ঠীর লোকজনের অনেকে আগে সিপিএম করত। কয়েকজন কিছুদিন আগে বিজেপিও করেছে। তাঁরাই এখন বাজার বুঝে দখলদারির রাজনীতিতে নেমে পড়েছে। তারই পরিণামে এ ঘটনা।” যদিও ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর লোকজন এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। খোদ ব্লক সভাপতি বামদেব মণ্ডল তো বলছেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দলই নাকি নেই। সবাই দলের সৈনিক, দলের কর্মী। শুধুমাত্র একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। 

Next Article