কাটোয়া: স্কুল চলাকালীন সহ শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা, রীতিমতো হাতাহাতির ছবি প্রকাশ্যে এল। শুধু স্টাফরুমে নয়, পড়ুয়াদের সামনে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার হাতাহাতির ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। কাটোয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মারধর ও ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘাড়ে ও পায়ে চোট রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্কুলের ওই শিক্ষিকা ও শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পাল্টা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের আউরিয়া চারুচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। গত শুক্রবার স্কুল ছুটির আগে প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষের সঙ্গে এক শিক্ষক ও এক শিক্ষিকার ছুটির অনুমোদন নিয়ে বচসা শুরু হয়। পরে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছেসেই দৃশ্য। দেখা যায় বচসা চলাকালীন এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল কেড়ে নিচ্ছেন, শিক্ষকদের চিৎকারে ছাত্রদের মধ্যে হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান অভিভাবকরা। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এর আগে মিড ডে মিল নিয়ে স্কুলের সহকারী কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্ররা প্রধান শিক্ষককে চোর বলে সম্মোধন করেছিল, এমন একটি ভিডিয়োও ভাইরাল হয়। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের একাধিক অভিযোগ আছে বলেই জানা গিয়েছে।
গত শুক্রুবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ছুটির (সিএল) অনুমোদন নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরপরেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন সহ শিক্ষকরা। আচমকা আমার ফোন কেড়ে নেন এক শিক্ষক। বাধা দিতে গেলে গায়ে হাত তোলেন। প্রধান শিক্ষকের দাবি, কর্মীদের ও পড়ুয়াদের সামনে ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা কিল-চড় মারেন। প্রাণে মারার হুমকি দেন। শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসিয়ে দেব বলেও হুমকি দেন। আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।