কালনা: মিষ্টি খেতে ভালবাসেন? তারপর তা যদি লেডিকিনি কিংবা ল্যাংচা হয়, তাহলে তো অনেকেই আছেন তা চেটেপুটে খেয়ে ফেলেন। তবে জানেন কি শুধু শক্তিগড়েই নয়। ইয়া বড় ল্যাংচা খেতে পারবেন পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও? কারণ, সেখানেই প্রায় এক হাত আকৃতির ল্যাংচা পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। আর সেই মিষ্টি আপনি একা খেয়ে মোটেই শেষ করতে পারবেন না।
কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত দেবদাস স্মৃতি মেলা। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা। সেখানেই মিলছে দশ কেজি ওজনের এই ল্যাংচা। এবারের অন্যতম আকর্ষণ এই মিষ্টি। একটি মিষ্টি কিনলে একান্নবর্তী পরিবারের সকলে অনায়াসে তা খেতে পারবে। তবে কত দাম জানেন এই ল্যাংচার? জানা গিয়েছে, দশ কেজি ওজনের এই ল্যাংচা বিকোচ্ছে ২০০০ টাকায়।আকৃতি প্রায় এক হাত। তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। দুহাজার টাকা দিয়ে যারা ল্যাংচা কিনে খেতে পারবেন না তাঁদের জন্য কম দামেও মিলছে মিষ্টি। অর্থাৎ পাঁচ টাকা থেকে দু’হাজার টাকা দরে এখানে ল্যাংচা পাওয়া যাচ্ছে। স্বাদ কিন্তু একই।
কথিত আছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবদাস উপন্যাসে উল্লেখিত পার্বতী ওরফে পারোর শ্বশুরবাড়ি ছিল এই হাতিপোতা গ্রাম। এখানেই শেষ জীবনে পার্বতীর খোঁজে এসেছিলেন দেবদাস। এই উপলক্ষে বিগত ২৪ বছর ধরে হয়ে আসছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে দেবদাস স্মৃতি মেলা। আর এই মেলার মূল আকর্ষণ বড় আকৃতির ল্যাংচা।
মিষ্টির কারিগর আবু সালেম শেখ বলেন, “২০০০ হাজার টাকা দামের মিষ্টি বিক্রি হয়। এখানে যে ছানা ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে কোনও ভেজাল নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এই মিষ্টি তৈরি করছি। প্রায় দু’ঘণ্টা সময় লাগে তৈরি হতে। আর ছানা ধরুন ৩ কেজির মতো লাগে।”