দিঘা: নতুন নতুন পর্যটনস্থল তৈরি হয়েছে বাংলায়। কোথাও পাহাড়ের বুকে নির্জন হোমস্টে, কোথাও আবার অ্যাডভেঞ্চারের অফুরন্ত ব্যবস্থা। কিন্তু বাঙালির কাছে দিঘার আকর্ষণ কমেনি কোনওদিনই। ছুটি হোক বা উইকেন্ড- বাঙালির পছন্দের গন্তব্যের তালিকায় দিঘার জায়গা একই রকম আছে। সদ্য উৎসবের মরশুমেও ভিড় ছিল দিঘায়। সাইক্লোনের আশঙ্কা কেটে যাওয়ার পর আবার সৈকত ভরে যায় পর্যটকে। সেই দিঘায় এবার নতুন ‘অ্যাডভেঞ্চার’।
দিঘা সহ সামগ্রিক এলাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ওল্ড দিঘায় নতুন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলে পাড় বাঁধাই করার কাজ চলছে। সমুদ্রের ধারে বসে সময় কাটানোর জন্য একাধিক বসার আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিউ দিঘাতেও রয়েছে আরও অনেক বিনোদনের ব্যবস্থা। স্পিডবোটে সমুদ্র বিহার করতে পারেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে প্যারাসেলিং-এরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
এবার আরও এক বিশেষ আকর্ষণ। দোলনায় চেপে সমুদ্রের উপরে দোল খেতে পারবেন পর্যটকরা। ইন্দোনেশিয়ার বালি-তে অনেকেই দেখেছেন জায়ান্ট সুইং। অনেক উঁচুতে থাকা সেই দোলনা বহু পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ। উত্তরাখণ্ডের হৃষিকেশে পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে এমন দোলনা বা জায়ান্ট সুইং। সেরকম দোলনাই এবার থাকবে দিঘায়। বেসরকারি উদ্যোগে শুরু হল সেই সমুদ্র-দোলনা যা পর্যটকদের কাছে চমকপ্রদ হয়ে উঠছে।
নিউ দিঘার ঢেউ সাগর কম্পাউন্ডের মধ্যেই সুসজ্জিত দোলনা লাগানো হচ্ছে। বেশ উঁচু স্ট্যান্ডের সঙ্গে লাগানো থাকবে সেই দোলনা। সুরক্ষার সব বন্দোবস্তও রয়েছে। ‘ঢেউ সাগর’ কর্তৃপক্ষের দাবি ‘জায়েন্ট সুইং’ (Giant Swing) নামের এই রাইড বিদেশে খুব বিখ্যাত। দুবাই, বালি-র মতো শহরে রয়েছে এই ‘রাইড’। বাংলায় প্রথম দিঘাতেই চালু করা হল এটি। পর্যটকদের জন্য মাথাপিছু ১০০ টাকা করে নেওয়া হবে এই রাইড চাপার জন্য। আগামিদিনে এরকম আরও একাধিক রাইডের ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।