Diamond Harbour: লক্ষ্য ইলিশ সংরক্ষণ, মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি মৎস্য দফতরের

Diamond Harbour Hilsa: যদি কোন বোট সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মৎস্য দফতরের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে বা নদীতে মাছ ধরতে যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সামুদ্রিক মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রণ আইন ও নিয়মাবলী ১৯৯৩, ১৯৯৫ মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে এবং সেই বোটকে বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি বোটের মালিক এবং মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Diamond Harbour: লক্ষ্য ইলিশ সংরক্ষণ, মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি মৎস্য দফতরের
ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 04, 2025 | 3:25 PM

ডায়মন্ড হারবার: বঙ্গোপসাগর এবং সুন্দরবনের নদীতে ইলিশের প্রজননের যথাযথ পরিবেশ রক্ষা এবং ফিমেল ইলিশ সংরক্ষণের জন্য এবার ১১ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। গত ২রা অক্টোবর থেকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে মৎস্য দফতর। ইতিমধ্যে জেলা মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের উপকূল এলাকার মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সুন্দরবনের উপকূলের ঘাটগুলো থেকে কোন ট্রলার, ট্রলি, ভুটভুটি কিংবা ডিঙি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যেতে পারবে না মৎস্যজীবীরা। যদি কোন বোট সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মৎস্য দফতরের নজর এড়িয়ে সমুদ্রে বা নদীতে মাছ ধরতে যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সামুদ্রিক মৎস্য শিকার নিয়ন্ত্রণ আইন ও নিয়মাবলী ১৯৯৩, ১৯৯৫ মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে এবং সেই বোটকে বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি বোটের মালিক এবং মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে মৎস্যজীবী সংগঠনের দাবি, এ বছর মরশুমের শুরুতে গভীর সমুদ্রে ভাল পরিমাণ ইলিশ মিললেও পরের দিকগুলোতে কম পরিমাণের ছোট সাইজের ইলিশ মিলেছে। তার উপর একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে গভীর সমুদ্র থেকে খালি টলার নিয়ে ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এই পরিস্থিতিতে টানা ১১ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকলে সমুদ্র এবং নদীতে ইলিশের প্রজননের যথাযথ পরিবেশ রক্ষা এবং ফিমেল ইলিশ সংরক্ষণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগেই খোকা ইলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। মৎস্যজীবীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নাগেন্দ্রবাজারের মাছের আড়তে  পুলিশকে ‘ইলিশ চোর’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষমেশ বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তল্লাশিতে ২৪০ কেজি ইলিশ বাজেয়াপ্ত হয়। তার মধ্যে ২৫০ গ্রামেরও মাছ ছিল।