Domestic Violence: ‘অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে, আমাকে আর বাচ্চাকে মানেও না’, স্ত্রীর অভিযোগে জেলে গেল যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 26, 2021 | 9:41 AM

Bhangar: ওই তরুণীর দাবি, কোনও ক্রমে ১০০ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

Domestic Violence: অন্য মেয়েকে বিয়ে করবে, আমাকে আর বাচ্চাকে মানেও না, স্ত্রীর অভিযোগে জেলে গেল যুবক
স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ওই যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী পরকীয়ার লিপ্ত। অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। এই মর্মে ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা।

ধৃত যুবকের স্ত্রীর অভিযোগ, পরকিয়ায় মজে ওই যুবক তাঁকে ও কোলের সন্তানকেও অস্বীকার করেন। এ নিয়ে প্রায়ই ওই দম্পতির মধ্যে ঝামেলাও হয়। অভিযোগ, স্ত্রী প্রতিবাদ করায় মারধর করা হয় তাঁকে। অভিযোগকারী জানান, ঘরে আটকে বেধড়ক কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় তাঁকে। পাশাপাশি বালিশ চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এরপরই ওই তরুণী কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই যুবককে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেন। দমদমের বাসিন্দা তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে বিধাননগরের বাসিন্দা ওই তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ওই যুবকের। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। দমদমে বাড়ি হলেও স্ত্রীকে নিয়ে ভাঙড়ের সাতুলিয়াতে একটি আবাসনে থাকেন তিনি। অভিযোগ, কয়েকদিন আগে স্ত্রীকে খুন করার চেষ্টা করেন ওই যুবক।

অভিযোগ, সে কারণে রান্নাঘরে গ্যাসের পাইপ খুলে রেখেছিলেন ওই যুবক। সেটা জানতে পেরে স্ত্রী প্রতিবাদ করলে ফ্ল্যাটের মধ্যেই তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তরুণী। কোনওক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে ১০০ ডায়াল করেন। কাশীপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বারুইপুর আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

অভিযোগকারী বলেন, “আমাকে খুবই মারধর করে ও। এর মধ্যে একদিন ছুরি দিয়ে হাতে আঘাতও করেছে। বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছিল। আমি বাঁচতে ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে গেলে আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে ও ফেলে দেয়। গেটে তালা দিয়ে দিয়েছিল। চাবিটা সরিয়ে ফেলে যাতে আমি বেরোতে না পারি। চিৎকার করে কাউকে জানাতে দেবে না বলে ঘরের সমস্ত দরজা জানলা বন্ধ করে রেখে দেয়। সেদিন আমাকে বলছে’তুই বাঁচলে তো বেরোবি আর থানা পুলিশ করবি’। গ্যাসের পাইপ খুলে দিয়ে বলছে ‘মরে যাবি, লোকে জানতে একটা অ্যাক্সিডেন্ট’।”

ওই তরুণীর দাবি, কোনও ক্রমে ১০০ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। তাঁর অভিযোগ, “ও আরেকটা বিয়ে করবে। আমাকে, আমার সন্তানকে ও স্বীকার করে না।” যদিও অভিযুক্ত সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “এই অভিযোগটা একেবারেই মিথ্যা। সাজানো ঘটনা একদম। বাস্তবের সঙ্গে কোনও যোগই নেই।”

আরও পড়ুন: আপাতত স্থিতিশীল সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সকালেই বৈঠকে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড

Next Article