দক্ষিণ ২৪ পরগনা: হাসপাতালে কাজের পরিবেশ নেই। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এবার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে পদত্যাগ করলেন চিকিৎসক। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে অস্থি রোগ বিশেষজ্ঞ তিনি। অপারেশনও করেন তিনি। আচমকা এভাবে তাঁর পদত্যাগে চিন্তায় রোগীর আত্মীয়রাও। ওই চিকিৎসকের নাম শান্তনু মণ্ডল। ২০১৩ সাল থেকে এই মহকুমা হাসপাতালে রোগী পরিষেবা দিচ্ছেন তিনি। এভাবে হঠাৎই কেন তিনি পদত্যাগ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালের অন্দরেই।
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা নেন কুলতলি, জয়নগর, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় এলাকার অসংখ্য মানুষ। এরমধ্যে সিংহভাগই দুঃস্থ মানুষ। কারও হাত ভেঙে গেল কিংবা পা ভাঙল এ হাসপাতালেই রোগী নিয়ে ছুটে আসেন বাড়ির লোকেরা। ভাঙাভাঙির চিকিৎসায় চোখ বুজে রোগীদের ভরসা চিকিৎসক শান্তনু মণ্ডলেই।
সেই শান্তনু মণ্ডল সোমবার আচমকাই পদত্যাগপত্র পাঠান হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। সেখান থেকে পদত্যাগপত্র যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও স্বাস্থ্য দফতরেও। কেন এমন সিদ্ধান্ত? চিকিৎসক শান্তনু মণ্ডল জানান, এই হাসপাতালে কাজ করার মত পরিবেশ নেই বর্তমানে। তাই তিনি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
হাসপাতালের সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা পদত্যাগ পত্র পেয়েছি। স্বাস্থ্যভবনে পাঠাব। ওখানেই যা সিদ্ধান্ত হওয়ার হবে। কোভিডের সময় তাঁর সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। সেটার মীমাংসাসূত্র বের করার চেষ্টা করেছিলাম। সেটা সম্ভব হয়নি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি যুক্তই নন। বরং তিনি বলেছেন, ডাক্তারবাবুই নাকি তাঁর উপর চড়াও হয়েছেন। জানি না কে সত্যি কথা বলছে!”
আরও পড়ুন: Contai Municipality: চার দশকে এই প্রথম কাঁথিতে খর্ব ‘অধিকারীর’ অধিকার, এবার চেয়ারম্যান সুবল মান্না