মস্কো: ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার লড়াই প্রায় এক মাসে পা দিয়েছে। বারবার আলোচনার পরও প্রতিবেশি দুই দেশের উত্তেজনা কমার নাম নেই। ইউক্রেন আক্রমণ করে সারা বিশ্বে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র অন্যান্য দেশেই নয়, খোদ নিজের দেশেও সমালোচার মুখে পড়েছেন কেজিবির এই প্রাক্তন গুপ্তচর। যুদ্ধ বিরোধী যে কোনও ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ রোধে তাই প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই এমন এক সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে, যা শুনে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। রাশিয়ার একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি রাশিয়ান প্রেসিডেন্টতে খুনের পরিকল্পনা করছেন। নীতিগতভাবে তাঁরা রুশ প্রেসিডেন্টের বিরোধী। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও অভিজাত শ্রেণির একাংশকে একত্রিত করার কাজ শুরু করেছেন, এমনটাই দাবি ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গোয়েন্দা প্রধানের।
এই বিশেষ দল যাঁর পুতিনকে হত্যার চক্রান্ত করছে, তাদের নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের লক্ষ্য পুতিনকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে অন্য কোনও ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়ে আসা। কারণ এমনটা হলেই পশ্চিমী দুনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসায়িক সম্পর্কে উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পথও সুদৃঢ় হবে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, “রাশিয়ার রাজনৈতিক অভিজাত সম্প্রদায়ের একাংশ ইতিমধ্যেই পুতিনের উত্তরসুরি হিসেবে আলেকজান্ডার বর্টনিকোভের নামকেই প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে। বর্টনিকোভ সম্প্রতি রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের পক্ষেই রয়েছেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কিছু ভুল পদক্ষেপের কারণে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।”
বর্টনিকোভ ও তাঁর দফতরই ইউক্রেনের জনগণ ও তাদের সেনার ক্ষমতাকে বিশ্লেষণ করেছিলেন। বর্টনিকোভ ও তাঁর সহযোগী রাশিয়ান অভিজাতরা পুতিনকে সরাতে বিভিন্ন ফন্দি করছেন। পুতিনকে সরাতে তাদের হাতে অনেকে গুলি বিকল্প রয়েছে। রাশিয়ান প্রেসিডেন্টকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হতে পারে অথবা কোনও দুর্ঘটনা দেখিয়ে পুতিনকে হত্যা করা হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে গোয়েন্দা বিভাগ। ইউক্রেনে চেচেন গ্রুপ কোথায় রয়েছে, তা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রশাসনের অভ্যন্তরের কেউ জড়িত না থাকলে এটা প্রকাশ হওয়া অস্বাভাবিক বলেই মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন গোয়েন্দা দফতর সূত্রের দাবি, রাশিয়া একটি জঙ্গি দলকে ইউক্রেনে পাঠাচ্ছে। তাদের লক্ষ্যই হল দেশের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করা। ইউক্রেন গোয়েন্দা দফতরের দাবির কতা বাস্তবতা রয়েছে, তার উত্তর মিলবে আগামী দিনে।
আরও পড়ুন Facebook-Instagram Banned: আদালতের নির্দেশ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে জারি নিষেধাজ্ঞা!