আফগানিস্তান: দেশের দখল নিয়েছে তালিবান। পালিয়ে গিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীও। এরই মধ্যে আফগানিস্তানের প্রথম উপ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করলেন। টুইটে এই ঘোষণা করেন তিনি। জানান, সংবিধান অনুযায়ী তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার টুইটারে আমরুল্লাহ সালেহ লেখেন, ‘আফগানিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি, পলায়ন, ইস্তফা কিংবা মৃত্যুর পর প্রথম উপ রাষ্ট্রপতি কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। আমি এখনও আমার দেশেই রয়েছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করব। যাঁরা আমাকে শুনছেন আমি কাউকে হতাশ করব না। আমি কোনও দিন তালিবানের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকব না। কোনও দিনও না।’ সকলের মতামতের অপেক্ষায় তিনি।
রবিবারই তালিবান যখন আফগানিস্তান দখলে নেয়, তার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। তবে সালেহ পঞ্জশিরে যান। প্রথম থেকেই তালিবানের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। টুইট করে বলেছিলেন, ‘আমি কখনও কোনও পরিস্থিতিতেই তালিবানের সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করব না।’
এদিকে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর আসরফ ঘানির বার্তা ছিল, তাঁর সামনে এদিন দু’টো কঠিন বিকল্প ছিল। হয় তালিবানের মুখোমুখি হতে হত অথবা তাঁর ‘প্রিয় দেশ’ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হত। গত ২০ বছর ধরে এই দেশ রক্ষার স্বার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন ঘানি। তাঁর দাবি তিনি যদি থাকতেন তাহলে বহু আফগানের মৃত্যু হত আর কাবুল শহর ধ্বংস হয়ে যেত। কার্যত বিপর্যয় হতে পারত ৬০ লক্ষ মানুষের এই শহরে।
It is futile to argue with @POTUS on Afg now. Let him digest it. We d Afgs must prove tht Afgh isn’t Vietnam & the Talibs aren’t even remotely like Vietcong. Unlike US/NATO we hvn’t lost spirit & see enormous oprtnities ahead. Useless caveats are finished. JOIN THE RESISTANCE.
— Amrullah Saleh (@AmrullahSaleh2) August 17, 2021
I will never, ever & under no circumstances bow to d Talib terrorists. I will never betray d soul & legacy of my hero Ahmad Shah Masoud, the commander, the legend & the guide. I won’t dis-appoint millions who listened to me. I will never be under one ceiling with Taliban. NEVER.
— Amrullah Saleh (@AmrullahSaleh2) August 15, 2021
আসরফ ঘানির দাবি কাবুলে হামলা চালাতে এসেছে তালিবান তাই রক্তবন্যা যাতে না হয় সে জন্য দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘তরবারি আর বন্দুকের বিচারে তালিবান জিতে গিয়েছে। এখন দেশের মানুষের সম্মান রক্ষার দায় তাদের।’ তবে তিনি মনে করেন, ‘ক্ষমতায় এলেও হৃদয় জিততে পারেনি এই সন্ত্রাসবাদী শক্তি। তাঁর মতে, এমন রুক্ষ ক্ষমতা কখনোই মানুষের হৃদয়ে বৈধতা পায় না। তাই তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের মহিলা সহ দেশের সব মানুষের হৃদয়ে যাতে তারা বৈধতা পায় সেই, পরীক্ষাই এখন দিতে হবে তালিবানকে। আরও পড়ুন: গলার কাছে দলা পাকিয়ে উঠবে কান্না! কাবুল বিমানবন্দরে একা একা কেঁদে চলেছে শিশুটি, খোঁজ নেই মা-বাবার