দুবাই: ফোনে তিন তালাক দেওয়ার কথা শোনা যায়। তা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়া। আবার যিনি ডিভোর্স দিলেন, তিনি সাধারণ কোনও মহিলা নন। তিনি দুবাইয়ের রাজকুমারী শাইখা মাহরা বিন্ত মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। ইনস্টাগ্রামেই স্বামীকে ডিভোর্স দিলেন। আর সেই পোস্টেই নিজেকে প্রাক্তন স্ত্রী বলে উল্লেখ করলেন। ২ মাস আগেই তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে।
বুধবার ইনস্টাগ্রামে দুবাইয়ের রাজকুমারী লিখেছেন, “প্রিয় স্বামী, তুমি যেহেতু অন্য সঙ্গে ব্যস্ত। তাই আমি আমাদের ডির্ভোস ঘোষণা করলাম। আমি তোমায় ডিভোর্স দিলাম। আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম। আমি তোমাকে ডিভোর্স দিলাম। ভাল থেকো। তোমার প্রাক্তন স্ত্রী।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর এই ডিভোর্সের খবর। দেখা যাচ্ছে, ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করেছেন মাহরা ও তাঁর ‘প্রাক্তন’ স্বামী শেখ মানা বিন মহম্মদ বিন রশিদ বিন মানা আল মাকতুম। নিজের নিজের প্রোফাইল থেকে দু’জনের সব ছবি মুছে ফেলেছেন। কারও মতে, পরস্পরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করে দিয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হয়তো মাহরার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, “খারাপ খবর। ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন।” আরেকজন মাহরার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। দুবাইয়ের রাজকুমারীর ‘সাহসিকতার’ প্রশংসা করেছেন আরেকজন। লিখেছেন, “এটা জীবনের অঙ্গ। ভাল-মন্দ মিলিয়ে জীবন এগিয়ে যাবে। কারও জন্য সে থেমে থাকে না।”
২০২৩ সালের মে মাসে মাহরা ও শেখ মানার বিবাহ হয়েছিল। বছর খানেক পর তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। সেইসময় সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে ছবি দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী।
কিছুদিন আগেই ইনস্টাগ্রামে একটা ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন বছর তিরিশের মাহরা। তাঁর বুকের উপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে কন্যাসন্তান। সেই ছবিতে লিখেছিলেন, “শুধু আমরা দু’জন।” সেদিনই কি বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মাহরা। তাঁর বিচ্ছেদের ঘোষণার পর উঠছে প্রশ্ন।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজপরিবারের কন্যা শাইখা মাহরা। তাঁর বাবা হলেন শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। দুবাইয়ের শাসকও তিনি। মহিলা ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন মাহরা। একইসঙ্গে তিনি ডিজাইনারও। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অন্যদিকে, শেখ মানাও দুবাইয়ে মাকতুম পরিবারেরই সন্তান।