কলম্বিয়া: জীব বৈচিত্রে ভরা ইকুয়েডর, কলম্বিয়ার মতো প্রশান্ত মহাসাগর ঘেঁষা মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশ। তেমনই এক দেশ থেকে অন্য দেশে শতাধিক হারলিকুইন ব্যাঙ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন এক মহিলা। ক্যামেরার ফিল্মের কৌটোয় ভরে তাদের পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ব্যাঙগুলি উদ্ধারের পর দেখা যায় দীর্ঘক্ষণ জলের অভাবে সেগুলির শরীর শুকিয়ে এসেছে। দুর্বল হয়ে পড়েছে। ব্যাঙগুলি পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলা ব্রাজিলের বাসিন্দা। কলম্বিয়ায় বগোটা এয়ারপোর্ট থেকে পাচারের সময় ওই মহিলার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যাঙগুলি। যাদের একেকটির মূল্য প্রায় ১ হাজার ডলার। ওই মহিলার দাবি, দক্ষিণ কলম্বিয়ার একটি সম্প্রদায় তাঁকে এই ব্যাঙগুলি উপহার দিয়েছে।
এগুলি যেমন তেমন ব্যাঙ নয়, মানুষের হাতের বুড়ো আঙুলের থেকেও ছোট মাপের। যাকে খালি হাতে ধরা বিষকে হাতের তালুতে রাখার সমান। এর পিঠের সমস্ত গ্রন্থি ভরা বিষে। যে কারণে একে বিষাক্ত ব্যাঙ বলেও ডাকা হয়। পয়জনাস ডার্ট ফ্রগ। এই বিষ এবং এদের গায়ের উজ্জ্বল রং এদের পৃথিবীর সব ব্যাঙের থেকে আলাদা এবং বহুমূল্য করে তুলেছে। হলুদ, কমলা, নীল, লাল, কালো, খয়েরির মতো উজ্জ্বল রঙ এদের। তবে এই মুহূর্তে একইসঙ্গে বিপদগ্রস্ত ও বিলুপ্তপ্রায় ব্যাঙ হিসাবেই সামান্য কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে এই প্রজাতিগুলি।
পয়জনাস ডার্ট ফ্রগ নাম হওয়ার কারণ এদের পিঠে ওই বিষ গ্রন্থি। এই বিষের সাহায্যে যে কোনও ছোট প্রাণী বধ করা সম্ভব। প্রাচীনকালে, এমনকী বর্তমান সময়ে অনেক প্রজাতির আদিবাসীর মধ্যেই এই বিষ ব্যবহারের রেওয়াজ রয়েছে। বিশেষ করে শিকার ধরা বা শত্রুকে অতর্কিতে আক্রমণ করে ঘায়েল করতে এই বিষের বিকল্প নেই। জানা গেছে, ওই মহিলা ব্যাঙগুলি নিয়ে পানামা হয়ে সাও পাওলো যাচ্ছিলেন। বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি পরীক্ষা করতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা তো থ।