Petrol Price: গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যারেলে এক ডলারের বেশি দাম বৃদ্ধি, আরও বাড়বে তেলের দাম?
Petrol Price: ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালন্তের দাবি, আমেরিকায় ভোটপর্ব চলার মধ্যেই আমাদের শক্ররা হামলা করতে পারে। তিনি এই দাবি করার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী। গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যারেলে এক ডলারেরও বেশি দাম বেড়েছে।
ছোট, ছোট এলাকায় অনেক, অনেক যুদ্ধ। যা নিয়ে উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। কিন্তু, এই ছোট ছোট যুদ্ধ থেকেই যদি বড়সড় একটা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়? এই যেমন পশ্চিম এশিয়ায় হচ্ছে। ইজরায়েল দাবি করছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খোমেইনির নির্দেশে আইডিএফের হামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইরান। আর এবার বেশ লম্বা সময় ধরে, আরও বিধ্বংসী হামলার হতে পারে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলে দিচ্ছেন, তেমন কিছু হলে তার একটাই পরিণতি, পুরোদস্তুর হামলা, মানে যুদ্ধ। ইরানের সেই হামলা রুখতে প্রস্তুতিও শুরু করেছে আইডিএফ। আসলে কয়েকদিন আগে ইরানে আইডিএফ যে হামলা চালিয়েছে, তাতে ইরানের খুব একটা কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইরান স্বীকার না করলেও উপগ্রহ চিত্রে দুটি জিনিস স্পষ্ট। এক, সেদেশের দুটি বড় অস্ত্রঘাঁটি ও সেনাঘাঁটিকে টার্গেট করেছিল আইডিএফ। দুই, ইরানের বন্দর, ওয়ারহাউস, প্রশাসনিক বির্ল্ডিংকে টার্গেট করেও মিসাইল হামলা হয়। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালন্তের দাবি, আমেরিকায় ভোটপর্ব চলার মধ্যেই আমাদের শক্ররা হামলা করতে পারে। তিনি এই দাবি করার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম উর্ধ্বমুখী। গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যারেলে এক ডলারেরও বেশি দাম বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনে দাম আরও বাড়ারই সম্ভাবনা। কিন্তু তাতে যে সাধারণ মানুষের চাপ আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ অবশ্য এখনই ইরানের পাল্টা হামলার সম্ভাবনা দেখছেন না। তাঁদের মতে, আইডিএফের হামলায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষার ভেঙেচুরে গিয়েছে। রাশিয়ার তৈরি এস-থ্রি হান্ড্রেড কোনও কাজেই আসেনি। তাঁরা বলছেন, এক ঝাঁক এফ-থার্টি ফাইভ নিয়ে ইরানের অনেকটা ভিতরে ঢুকে এসেছিলেন আইডিএফের পাইলটরা। বিমান থেকে ঘনঘন মিসাইল ফায়ার করেছেন। কিন্তু, ইরান একটি বিমান বা মিসাইলকেও লোকেট করতে পারেনি। এস-থ্রি হান্ড্রেড অকেজো হওয়ার পর এখন ইরানের একমাত্র ভরসা জুবিন এয়ার ডিফেন্স। জুবিনকে বলা হয় ইজরায়েলি আয়রন ডোমের ইরানি ভার্সন। ইরান দাবি করেছিল, জুবিন ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১০০টি টার্গেটকে লোকেট করে ধ্বংস করতে পারে। তবে যেখানে এস-থ্রি হানন্ড্রেডই মুখ থুবড়ে পড়ল, সেখানে জুবিন কতটা কী করতে পারে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ারের দাবি, পুরোদস্তুর যুদ্ধপ্রস্তুতি নিয়ে ইজরায়েলে হানা দিয়েছিল আইডিএফ। এফ ফিফটিন আই অ্যাটাক জেট, এফ-থার্টি ফাইভ বোমারু বিমান, মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরতে সিনির মতো রিফুয়েলিং বিমান, একাধিক শক্তিশালী মিসাইল – প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক ছিল না। ব্যাক অ্যাপ হিসাবে ছিল এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমানের আর দুটি ডিভিশন। আর ইজরায়েল সীমান্তে অ্যাকটিভেট ছিল ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ডেভিড, অ্যারো ওয়ান ও টু এবং অবশ্যই আয়রন ডোম। যুদ্ধবিমানগুলিকে সুরক্ষা দিতে ছিল এফ আই সুফা ও অত্যাধুনিক হেরন ড্রোন। ইরানের আকাশে আসল কাজটা এই হেরন ড্রোনই করেছে। ছোট, ছোট টার্গেটে দিয়ে নিখুঁত হামলা করেছে নয়তো বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে। মিসাইল হামলায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি হলে হেরন ড্রোনের ব্যবহার করেছিল আইডিএফ। ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের মতে, এখন ইরান যদি আরও তেড়েফুঁড়ে ইজরায়েলের হামলা চালায়, তা হলে কিন্তু আর রাখঢাক না করেই দু-পক্ষ মুখোমুখি যুদ্ধে নেমে পড়বে। সঙ্গে ব্রিটেন, জার্মানি, আমেরিকা, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং আরও বেশ কয়েকটা দেশ। পশ্চিয় এশিয়ার সবপ্রান্ত হয়ে যুদ্ধটা আরও আরও ছড়িয়ে পড়বে।