ইউক্রেন : ইউক্রেনের একাধিক জায়গা বর্তমানে রাশিয়ার দখলে। ৬৪ দিন পরও বিরতি নেই। এখনও বোমা-গুলি থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা চলছে ইউক্রেনের শহরগুলোতে। যাঁরা পালাতে পেরেছেন, তাঁরা অব্যাহতি পেলেও এখনও বহু মানুষ ইউক্রেনে প্রতিনিয়ত বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেই দেশ থেকে উঠে আসছে একের এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ। এবার রুশ সেনার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ সামনে আনল এক কিশোরী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ মুখ খুলেছে ওই কিশোরী। সে জানিয়েছে তাকে হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেছে রুশ সেনা। মদ্যপ অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বর্তমানে ইউক্রেনের খেরসন চলে গিয়েছে রুশ সেনার দখলে। আর সেই খেরসনেই ঘটেছে এই ঘটনা। ধর্ষণের সময় ১৬ বছরের ওই কিশোরী গর্ভবতী ছিল বলেও জানা গিয়েছে। কিশোরী জানিয়েছ, তার হাত-পা বেঁধে, হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাধা দিলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে রুশ সেনা।
জানা গিয়েছে, খেরসনে বসবাসকারী ওই কিশোরীর পরিবার বোমার ভয়ে বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিল। কোনও রকমে মাথা গুঁজে ছিল তারা। কিন্তু খাবারের খোঁজে বেরতে বাধ্য হয়েছিল। আর সেই সময়েই রুশ সেনার নজরে পড়ে যায় ওই পরিবার। কিশোরী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের দেখে এগিয়ে আসে রুশ সেনা। পরিবারের মেয়েদের বয়স কত জিজ্ঞাসা করে। ১৬ বছরের কিশোরী ছাড়াও ওই পরিবারে ছিল ১২ ও ১৪ বছরের আরও দুই কিশোরী। তখনই এক সেনা তাকে পোশাক খুলতে বলে। সে আপত্তি করলে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, রাজি না হলে আরও ২০ জন লোককে নিয়ে আসা হবে।
নির্যাতিতা ওই কিশোরী আরও জানায়, ওই সেনার নীল চোখটাই শুধু মনে আছে, আর কিছু মনে নেই তার। সেনাবাহিনীর ওই সব সদস্যরা মেয়ে খুঁজতে গ্রামে গ্রামে ঘুরছিলেন, তাঁদের কথাবার্তা শুনে এটুকু বুঝতে পেরেছিলেন ওই কিশোরী। আর ওই ঘটনার পর আরও এক সেনা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ কিশোরীর। ইউক্রেনের প্রশাসনের তরফেও ওই ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়েছে। ওই ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন ইউক্রেনের প্রশাসনিক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরী মুখ খুলেছে বলেই তদন্তে সুবিধা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Russia Captured Kherson: গণভোটের নাম করে শহর দখল, খেরসনে উড়ল রুশ পতাকা